
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের দেওয়া বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
ইশরাককে ইঙ্গিত করে ক্ষুব্ধ ভাষায় এই জুলাই বিপ্লবী বলেছেন, ‘কিছু হলেই আসিফ মাহমুদকে দায় দিয়ে দাও। নিজ দলের কতিপয় ব্যক্তি দ্বারা প্ররোচিত হয়ে আন্দোলনের ট্র্যাপে পড়ার দায়ও আসিফ মাহমুদকে দিয়ে দাও।’
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে এই প্রতিক্রিয়া দেখান আসিফ মাহমুদ।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘এর আগেও একবার আন্দোলনরত দুই গ্রুপ মারামারি করে মাথা ফাটায়, আজও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। দখলকৃত নগরভবনে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করেই দুই গ্রুপের সংঘর্ষ। এর আগেও নগরভবনের দরজায় তালা লাগিয়ে সামনে দাড়িয়ে বলেছেন, ‘আসিফ মাহমুদ সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।’
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে নগর ভবনে সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) যান ইশরাক হোসেন।
সেখানে এই বিএনপি নেতা দাবি করেন, ‘নগর ভবনে যারা হামলা চালিয়েছে, তারা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠ। এই হামলার সঙ্গে বিএনপি বা শ্রমিক দলের কেউ জড়িত নয়।’
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে নগর ভবনে আন্দোলন করছিলেন ঢাকাবাসীর ব্যানারে তার সমর্থকরা। এসময় সেখানে একদল সশন্ত্র লোক গিয়ে বিএনপির স্লোগান দিয়ে হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন।
এ ব্যাপারে ইশরাকের দাবি, ‘বিএনপির স্লোগান ব্যবহার করে হামলা চালিয়ে দলকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র হয়েছে। যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের সঙ্গে উপদেষ্টা আসিফের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।’
এর আগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মো. সুমন ভূইয়া বলেন, ‘আমি আসলে আজকে যাইনি নগর ভবনে। তবে যতটুকু জানি, যেদিন সেবা চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল সেদিন প্রশাসক এবং প্রকৌশল বিভাগের লোকজন নগর ভবনে ঢুকতে পারবে না। কিন্তু আজকে প্রকৌশল বিভাগের লোকজন জোরপূর্বক অফিস করতে যায়। সেখানে আরিফুজ্জামান প্রিন্স বহিরাগতদের নিয়ে এই কাজে সহযোগিতা করে। সেটা নিয়ে মারামারি হয়েছে। তবে প্রিন্স আমাদের শ্রমিক দলের কেউ না। সে দাবি করে। কিন্তু তাদের কমিটি আমরা অনুমোদন দেইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আরিফুজ্জামান প্রিন্সের সঙ্গে বহিরাগতদের হামলায় আরিফ চৌধুরীসহ শ্রমিক দলের অনেকে আহত হয়েছেন।’
ইশরাক হোসেনের লোকজনরা দাবি করেন, ‘স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ঘনিষ্ঠতম হিসেবে পরিচিত প্রকৌশলী রুবেলের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে।’
শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আরিফ চৌধুরীও দাবি করেন, ‘ঢাকাবাসীর ন্যায্য আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য দুদকে অভিযুক্ত সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী আসিফের ঘনিষ্ঠ রুবেল বহিরাগতদের সংগঠিত করে এই হামলা চালায়।’