শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌপথে ঘরমুখো মানুষের ঢল দেখা গেছে। তবে ফেরি সংকটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের বিড়ম্বনা চরমে।
এছাড়া যানবাহনগুলো দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় রয়েছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ অপেক্ষার লাইন আরও দীর্ঘ হচ্ছে। বাস-ট্রাকসহ ভারী যানবাহন পারাপার বন্ধ থাকলেও চাপ বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।
মাঝিরকান্দিতে দ্বিতীয় ঘাট বুধবার (২৭ এপ্রিল) থেকে সচল হওয়ায় ফেরিগুলো গতি পেয়েছে। তবে ২১টির জায়গায় ফেরি চলছে এখন আটটি।
আট মাস পরে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ২৪ ঘণ্টা ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়ায় পারাপারের অপেক্ষায় যানবাহনের দীর্ঘলাইন। রোজার মধ্যে প্রচণ্ড গরমে ঘাট ব্যবহারকারীদের দুর্ভোগ এখন চরমে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফেরিতে উঠতে পারছে না যানগুলো।
এদিকে করোনায় দুবছর পর এবারের ঈদে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীরা ফেরি বাড়ানোসহ ঘাটের সুব্যবস্থাপনার দাবি জানিয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ার বিআইডব্লিউটিসির টার্মিনাল সুপার এইচ এম ইয়াদুল ইসলাম জানান, গত ১৮ আগস্ট থেকে এখানে ফেরি চলাচলে তৈরি হয় অচলাবস্থা। ৮ নভেম্বর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার দিনের বেলায় এবং পরবর্তীতে ১৩ ডিসেম্বর থেকে পদ্মা সেতুকে এড়িয়ে শিমুলিয়া থেকে মাঝিরকান্দি নৌপথে সীমিত ফেরি চলাচল শুরু হয়।
শিমুলিয়া থেকে শুধু যাত্রী পারাপার করছে ৮৭টি লঞ্চ ও ১৫৩টি স্পিডবোট।
পিএসএন/এমঅাই
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত