বিবাহিতদের পুলিশে এএসপি হিসেবে নিয়োগ না করার প্রস্তাব দিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের নিজেদের বৃহত্তর জেলার মধ্যে পদায়ন এবং স্বামী-স্ত্রী পুলিশ সদস্যকে একই জেলায় পদায়নের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কাছে এসব প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সময় তিনি আরও একগুচ্ছ প্রস্তাব দেন।
প্রস্তাবগুলো হলো౼ সব স্তরে ঝুঁকি ভাতা চালু করা, আবাসন সংকট নিরসন, ট্রেনিং একাডেমিতে ভাতা দেওয়া, নারী প্রশিক্ষণকেন্দ্র বাড়ানো, পুলিশ সদস্য স্বামী-স্ত্রী হলে একই কর্মস্থলে পদায়ন, এএসপি পদে নিয়োগবিধি সংশোধন।
এ ছাড়া নারী ট্রাফিকের জন্য নারীবান্ধব টয়লেট ফ্যাসিলিটিজ এবং বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহসহ সার্বিক মানোন্নয়নের প্রস্তাব করা হয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে।
এএসপি পদে নিয়োগবিধি সংশোধনের প্রস্তাব করেন বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ব্যারিস্টার জিল্লুর রহমান।
তিনি বলেন, পুলিশ একাডেমিতে এএসপি হিসেবে যাদের প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়, তাদের প্রায় ৭০ শতাংশই বিবাহিত। অনেকেরই সন্তান আছে। তারা সন্তান ঢাকায় রেখে প্রশিক্ষণে আসেন। তাদের মন পড়ে থাকে ঢাকায়। তাদের দিয়ে গুণগত মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া অনেকাংশেই সম্ভব হয় না। আবার প্রশিক্ষণ শেষে ঢাকার বাইরে বদলি করলেই তারা ঢাকায় থাকার জন্য তদবির করেন।
তিনি আরও বলেন, এমন প্রেক্ষাপটে অবিবাহিতদের বিসিএস পরীক্ষায় এএসপি হিসেবে নিয়োগ করলে তাদের গুণগত মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব। তিনি বিবাহিতদের বিসিএসে এএসপি হিসেবে নিয়োগ না করার প্রস্তাব করেন।
সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ সদস্যদের নিজেদের বৃহত্তর জেলার মধ্যে পদায়নের চিন্তাভাবনা করছে সরকার। একইভাবে স্বামী-স্ত্রী দুজন পুলিশ সদস্য হলে তাদের একই জেলায় পদায়নে অগ্রাধিকার দেওয়া কথাও ভাবা হচ্ছে। কনস্টেবল থেকে এসআইদের ঝুঁকি ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে উচ্চসীমা (সিলিং) বন্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে নিচের স্তরের পুলিশ কর্মকর্তারা আগের চেয়ে অধিক হারে ঝুঁকি ভাতা পাবেন।
মতবিনিময় সভায় ট্রাফিকদের দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাসহ ট্র্যাফিক বক্স/শেলটার স্থাপন, রাতে টহলরত পুলিশ সদস্যদের জন্য তাঁবু স্থাপন এবং মাদকের মূল হোতাদের ধরতে শক্ত অভিযান পরিচালনার বিষয়ে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।