করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে দৈনিক প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা।
গত একদিনে সারাবিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে সাড়ে ৫ শতাধিক মানুষের মধ্যে। আরও ভাইরাসটিতে নতুন শনাক্তের সংখ্যা নেমে এসেছে দেড় লাখের নিচে, যা আগের দিনের তুলনায় কম।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৫৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে দুই শতাধিক। এ নিয়ে সংক্রমণ শুরুর পর থেকে সারা বিশ্বে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৬ লাখ ১৬ হাজার ২৫৯ জনে।
এই সময়ে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫০৬ জনের দেশে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৫০ হাজারের বেশি। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ কোটি ৫ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৯ জনে।
গত একদিনে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৫৫ জন এবং মারা গেছেন ৪৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৩২ লাখ ১৬ হাজার ২৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৭ হাজার ৬২৭ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে নাম উঠেছে ফ্রান্সের। গত ২৪ ঘণ্টায় ইউরোপের দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০০ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৭১ লাখ ৩৩ হাজার ১৯০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮২১ জন মারা গেছেন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৮ জন এবং মারা গেছেন ৬১ জন; ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪০৮ জন, মারা গেছেন ৫৪ জন; যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ২৫৭ জন, মারা গেছেন ৩৯ জন; দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৭৬৫ জন এবং মারা গেছেন ৪৪ জন; তাইওয়ানে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৬১৯ জন, মারা গেছেন ৪০ জন; চিলিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৭৪ জন, মারা গেছেন ২৪ জন; ব্রাজিলে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৫৮৩ জন, মারা গেছেন ৮ জন;
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেখানে তাণ্ডব চালানোর পর ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে। সারা বিশ্বেও করোনা ব্যাপক আকারে তাণ্ডব চালাতে শুরু করে। প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন প্রাণ হারাতে থাকেন হাজার হাজার মানুষ। দীর্ঘদিন তাণ্ডব চালানোর পর ভাইরাসটির প্রকোপ এখন কিছুটা করে এসেছে। কিন্তু এখনও ভাইরাসটি নির্মূল করা সম্ভব হয়নি।