করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে দৈনিক প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে। তবে একই সময়ে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় কমেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় এক হাজার মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে আড়াই লাখের কম মানুষের শরীরে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৬০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পাঁচ শ। এর ফলে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯৪৯ জনে।
একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪১ হাজার ৬৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৮৭ হাজার। এ নিয়ে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ কোটি ৪০ লাখ ৫৫ হাজার ১৭৩ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। আর দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে আছে ফ্রান্সের নাম।
জাপানে গত একদিনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ৩৩৬ জন এবং মারা গেছেন ১২৭ জন। করোনা শুরুর পর থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৬১ লাখ ৩২ হাজার ১৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৫১ হাজার ৮২৯ জন মারা গেছেন।
ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৮৭৮ জন এবং মারা গেছেন ১৬৭ জন। শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৮৫ লাখ ১৫ হাজার ৭২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭০ জন মারা গেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৬৬৭ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন; যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৮৩ জন; থাইল্যান্ডে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৬১ জন এবং মারা গেছেন ১০৭ জন; রাশিয়ায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ৩৭৬ জন এবং মারা গেছেন ৫০ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেখানে তাণ্ডব চালানোর পর ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে। ভাইরাসটি তাণ্ডব থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশও।
বর্তমানে সারা বিশ্বে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমে এলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
