মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলামান টিকা কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৯৮৭ জন বুস্টার ডোজ পেয়েছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০৬ জন ভাসমান জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানা যায়।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সারাদেশে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে ২৩ হাজার ৭০০ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৭ হাজার ৮৯৫ জনকে এবং বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫১ হাজার ২৭৯ জনকে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে টিকা কার্যক্রমের শুরুর পর এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজের আওতায় এসেছেন ১৪ কোটি ৮৯ লাখ ৫৭ হাজার ১৫ জন। দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ১২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৩ হাজার ২৯৯ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৪৫ লাখ ৫৬ হাজার ১৯২ জন।
দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর থেকে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, দেশে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ ২ হাজার ৬৩৮ জন। গত এক দিনে ৪৪৫ শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে ৭৮৯ জন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
আর ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৬ লাখ ১৫ হাজার ৯১২ জনকে করোনা প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় ফাইজারের বিশেষ এ টিকার ডোজ পেয়েছে ২০ হাজার ৮৩ শিশু। আর এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১০ লাখ ৫১ হাজার ৪৮৬ জনকে।
এদিকে দেশে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৯৮৭ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন। তাদের জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। আর ১৫ হাজার ৮৯৭ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।