
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় ও বিভিন্ন জেলা কার্যালয়ের ১১টি টিম সোমবার (৪ নভেম্বর) পৃথক অভিযানে মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে।
অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, চাল, ভোজ্যতেল, গ্যাস, ঔষধ, ডায়াগনস্টিক সেবা, আলু, দেশি পেয়াজ, সবজি, মুরগি ও ডিমের বাজারে ক্রয় ভাউচার যাচাই ও মূল্যতালিকা পরিদর্শন করা হয়। এ সময় ব্যবসায়ীদের সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়।
খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গায় উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আহসানিয়া ভাই ভাই স্টোর ও অটো ডাইনামিককে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল পণ্য বিক্রির দায়ে ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই এলাকায় সহকারী পরিচালক প্রনব কুমার প্রামাণিকের নেতৃত্বে ‘আপ্যায়ন জমজম মিষ্টি ঘর’কে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মাগুরায় সহকারী পরিচালক মো. সজল আহম্মেদের নেতৃত্বে দুই প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা, সাতক্ষীরায় মো. মেহেদী হাসান তানভীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার টাকা, ঝিনাইদহে নিশাত মেহেরের নেতৃত্বে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চুয়াডাঙ্গায় মো. মামুনুল হাসানের নেতৃত্বে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৬৫ হাজার টাকা, কুষ্টিয়ায় মো. মাসুম আলীর নেতৃত্বে দুই প্রতিষ্ঠানকে ২৮ হাজার টাকা, বাগেরহাটে শরিফা সুলতানার নেতৃত্বে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৪ হাজার টাকা এবং যশোরে মো. সেলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিবের নেতৃত্বে তিন প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার টাকা এবং নড়াইলের সহকারী পরিচালক শামীম হাসানের নেতৃত্বে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীদের মূল্যতালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন, ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ ও নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত