
খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ নির্ধারিত সময়ের পৌনে দুই ঘণ্টা আগেই শুরু হয়েছে। শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সোয়া ১২টায় কোরআন তিলাওয়াত ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়েছে।
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জানা গেছে, সমাবেশ মঞ্চ থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে টাঙানো হয়েছে ১২০টি মাইক। আটটি পয়েন্টে বসানো হয়েছে প্রজেক্টর।
বেলা ১১টার দিকে নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে বিএনপির সমাবেশ এলাকায় দেখা যায়, তিল ধারণের জায়গা নেই। সমাবেশের সামনে স্থান না পেয়ে নেতাকর্মীরা আশপাশের সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। আবার তীব্র রোদের কারণে অনেকে সড়কের পাশে ছায়ায় জড়ো হয়েছেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। থাকবে ড্রোন ক্যামেরায় নজরদারি। এছাড়া শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করছে ৪০০ স্বেচ্ছাসেবক।
এর আগে সকাল পৌনে ১১টায় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন জাসাসের শিল্পীরা। নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে তীব্র রোদ উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মাতিয়ে রেখেছেন সমাবেশস্থল।
এদিকে স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। মঞ্চে ইতোমধ্যে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
চাল-ডাল-তেল-গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, খুন-গুম, দুর্নীতি-দুঃশাসনের প্রতিবাদ এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, সংসদ বিলুপ্ত ও সরকার পতনের দাবিতে শনিবার খুলনায় বিএনপির তৃতীয় বৃহত্তর বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পিএসএন/এমঅাই