
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ২০২৫-২৬ রবি মৌসুমে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলার ১,০৮,৮৫১ হেক্টর জমি থেকে মোট ৯,৪৯,৬০২ মেট্রিক টন রবি ফসল উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
ডিএই কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যে প্রায় ৫১,১৬৭ হেক্টর জমিতে চাষ শুরু হয়েছে। রবি ফসলের রোপণ ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত চলবে।
এ অঞ্চলে প্রধান রবি ফসল হিসেবে পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, ডাল, আলু, কুমড়া, সরিষা, ভুট্টা, গম, বাদাম ও ক্যাপসিকামসহ বিভিন্ন সবজি চাষ হচ্ছে। এসব ফসল উপকূলীয় লবণাক্ত জমিতেও সফলভাবে চাষ হচ্ছে, যা দারিদ্র্য হ্রাস ও উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবিকা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
গত ২০২৪-২৫ মৌসুমে খুলনা কৃষি অঞ্চলে প্রায় ৬৮,৩০২ হেক্টর জমি থেকে ১৩.০২ লাখ টন ফসল উৎপাদন হয়েছিল, যদিও প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক (ডিএই) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “খুলনা কৃষি অঞ্চলের কৃষকরা ইতোমধ্যে রবি ফসলের চাষ শুরু করেছেন। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত এ মৌসুম চলবে।”
তিনি আরও বলেন, “অনুকূল আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত সেচ সুবিধার কারণে কৃষকরা ভালো ফলনের আশায় আছেন। গত বছর দুই লাখেরও বেশি পরিবার রবি ফসল চাষের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল হয়েছে এবং জীবিকা উন্নয়ন করেছে, যেখানে ডিএই বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করেছে।”
রবি মৌসুমে ভালো ফলন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক কৃষিঋণ প্রদান করছে। পাশাপাশি সরকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে মানসম্মত বীজ ও সার বিতরণ করছে।
খুলনার কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলার কৃষক নওয়াব আলী, শরিফ গাজী, নুরু হাওলাদার ও গোবিন্দ দাস জানান, তারা উপকূলীয় লবণসহন জমিতে রবি মৌসুমে বিভিন্ন ফসল চাষ করে নিজেদের ভাগ্য বদলে ফেলেছেন।
পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়নের কৃষক হালিম গাজী বলেন, “অনেকে আমন ধান কাটার পর একই জমিতে সরিষা ও স্বল্পমেয়াদি ফসল চাষ করছেন, এতে জমির ব্যবহার বাড়ছে এবং মুনাফাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত