
গাজীপুরের টঙ্গী ও ধীরাশ্রম এলাকায় এক শ্রমিক ও গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে শ্রমিক ও স্বামীর দায়ের আঘাতে স্ত্রী নিহত হন।
বুধবার (৯ জুলাই) দিবাগত রাতে এই দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— বরিশাল সদর উপজেলার হায়াতসার গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে মাহফুজুর রহমান (২১) ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ধীরাশ্রম এলাকার মোস্তফা কামালের স্ত্রী সালমা খাতুন। নিহত মাহফুজুর রহমান টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ব্লু ফ্যাশনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১২টার দিকে আব্দুল্লাহপুর ফ্লাইওভার থেকে সেনা কল্যাণ ভবনগামী নামার সংযোগ রাস্তার মাঝামাঝি সড়ক ও জনপদ অফিসের সামনে পৌঁছা মাত্র অজ্ঞাতানামা দুষ্কৃতিকারীরা মাহফুজুর রহমানকে হঠাৎ আক্রমণ করে। এসময় তার ডান পায়ের উরুর পেছনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা। পরে ডিএমপির ডিউটিরত পুলিশ সদস্যরা তাকে আহত অবস্থায় সিএনজিতে তুলে দিলে সিএনজি ড্রাইভার ভিকটিমকে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ভিকটিম মাহফুজুর রহমান মারা গেছেন।
টঙ্গী পশিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক জানান, খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের বহন করা ব্যাগ যেহেতু সঙ্গে পাওয়া গেছে তাই ছিনতাই নাকি অজ্ঞাত কোনো কারণে দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক তিনি নিহত হয়েছেন সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে, বুধবার রাত ১০টার দিকে ধীরাশ্রম এলাকার পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী সালমা খাতুনকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন স্বামী মোস্তফা কামাল। ঘটনার পর এলাকাবাসী অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, নিহত সালমা খাতুনের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী মোস্তফা কামালকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের সহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।