
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) নবম আসর মাঠে গড়াচ্ছে। দুপুর আড়াইটাই প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স-সিলেট স্টাইকার্স। এ ছাড়াও সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে বর্তমান চ্যাম্পিয়ান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে রংপুর রাইডার্স। চট্টগ্রাম শেষ আসরে প্লে-অফে খেলেছে। দলটিতে বড় মানের দেশি-বিদেশি তারকা না থাকলেও প্রভিবানদের দলে ভিড়িয়েছে। শেষ আসরেও তারা তরুণদের নিয়ে দল গড়ে চমকে দিয়েছে। এই আসরে এই একই কাজটি করতে চায় দলটি। এমনটিই জানিয়েছেন অধিনায়ক শুভাগত হোম চৌধুরী। অন্যদিকে অভিজ্ঞ মাশরাফির নেতৃত্বে সিলেটও শুরুটা জয় দিয়ে করতে চায়। রংপুর রাইডার্সের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবার নূরুল হাসান সোহান।
এ ছাড়াও কুমিল্লার নেতৃত্বে আছেন দুই বারের চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। সব অধিনায়কই মুখিয়ে আছেন চার-ছক্কার লড়াইয়ে নিজেদের প্রমাণ করতে। মাঠে নামার আগে চার দলের অধিনায়ক সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরেছেন নিজেদের দলের লক্ষ্যের কথা-
মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক, সিলেট স্ট্রাইকার্স)
বলা কঠিন (চ্যাম্পিয়ন হওয়া)। তবে ব্যবস্থাপনা খুবই ভালো মনে হচ্ছে। যারা কোচিং স্টাফে আছে, ক্রিকেটার সবার মধ্যেই কম্বিনেশনও ভালো। মাঠে কেমন করবে, সেটা বলা কঠিন। ফ্র্যাঞ্চাইজি চায় ভালো কিছু করতে। সব দলই চায় চ্যাম্পিয়ন হতে। আমরাও তার ব্যতিক্রম কিছু না। এটা তো বলে কয়ে হবে না। মাঠে ভালো করতে হবে। ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই আমরা। কাল (আজ) যদি ভালো করতে পারি, এটা মোমেন্টামের খেলা। শেষের দিকে না তাকিয়ে আমরা শুরু থেকে ভালো করার চেষ্টা করবো। এটা আসলে কঠির প্রশ্ন। ম্যাচও খেলিনি। ম্যাচ থেকেই প্রন্তুত হতে হবে। মানসিকভাবে ঠিক আছি। এমন তো না যে, শুধু মানসিকভাবে ঠিক থাকলে স্কিল ঠিক থাকবে। লেটস সি (দেখা যাক)। আল্লাহ ভরসা। আর আমার বোলিং নিয়ে যদি বলেন, ‘লম্বা সময় ম্যাচও খেলিনি, মানে ম্যাচ থেকে তৈরি হতে হবে। মানসিকভাবে ঠিক আছি। কিন্তু এমন তো না যে মানসিকভাবে ঠিক থাকলে স্কিলও ঠিক থাকবে। দেখা যাক, বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
শুভাগত হোম চৌধুরী (অধিনায়ক, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)
সবার যে লক্ষ্য আমারও সেই লক্ষ্য (চ্যাম্পিয়ন হওয়া)। আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই মাঠে নামবো। আমাদের শক্তিশালী দিক হলো, টিম স্প্রিট। দল ভারসাম্যপূর্ণ। সেই হিসেবে আমরা আশা করতেই পারি। খুব বড় তারকা নেই কিন্তু দলে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে। আমার দায়িত্ব দলকে সামনে থেবে এগিয়ে নেয়া সেই কাজটিই করতে চাই। দেশি-বিদেশি ক্রিকেটার যারা আছেন তাদের নাম হয়তো খুব বড় নয়। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রমাণ রেখেছে বলেই এখানে আসতে পেরেছে। আর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের নেতৃত্ব নিয়ে গত আসরে যে বিতর্ক হয়েছিল সেটি আসলে আমার বিষয় নয়। কারণ আমি সেবার এই দলে খেলিনি। আমাকে এবার যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেটি আমি সঠিকভাবে পালন করতে চাই।
ইমরুল কায়েস (অধিনায়ক, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)
কুমিল্লা সবসময় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল করে। এ বছরও আমাদের একই পরিকল্পনা। চেষ্টা করবো এ বছরও শিরোপা ধরে রাখার জন্য। মাঠে ভালো খেলতে হবে। কাগজে-কলমে যত শক্তিশালীই হই না কেন, মাঠে খেলতে না পারলে লাভ হবে না। আমরা মাঠে খেলেই প্রমাণ করতে চাই।
নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক, রংপুর রাইডার্স)
অবশ্যই আশা থাকবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। ট্রফি এখনো ধরি নাই। যদি চ্যাম্পিয়ন হতে পারি তাহলেই ধরবো। আমাদের দল তরুণ, এনার্জেটিক। দলে অনেক অলরাউন্ডার আছে। মাঠে একশ’ ভাগ দিলে ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে। অনুশীলন (নিজেদের মাঠ) আমাদের জন্য ভালো সুযোগ। সময়সীমা ছিল না, ইচ্ছে মতো নিজেদের মাঠে অনুশীলন করতে পেরেছি। কিন্তু ম্যাচ মিরপুরে। এখানে নিজেদের শতভাগ দিতে হবে।
পিএসএন/এমঅাই