তুরস্কের অনুরোধে আবারও আলোচনায় বসতে যাচ্ছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। এরআগের টানা চারদিন আলোচনা হওয়ার পর এটি ব্যর্থ হলে আফগানিস্তানকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয় পাকিস্তান। এরপর তুরস্ক দুই দেশকে পুনরায় বৈঠকে বসার অনুরোধ করে।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) জানিয়েছে, পাকিস্তান জানিয়েছিল তারা তাদের প্রতিনিধিদের তুরস্ক থেকে ফিরিয়ে আনবে। তবে এখন তাদের দলটি ইস্তাম্বুলেই অবস্থান করবে।
নাম গোপন রাখার শর্তে এক পাক কর্মকর্তা আলজাজিরাকে বলেছেন, “পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে আফগানিস্তানের মাটি যেন ব্যবহার না হয় সেজন্য পাকিস্তান ফের নিজের অবস্থান জানিয়েছে। তুরস্কের অবদানকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা সদিচ্ছার সাথে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোও জানিয়েছে, তুরস্কের অনুরোধ ও কাতারের হস্তক্ষেপের পর পাকিস্তানের সঙ্গে তারা পুনরায় আলোচনা করতে রাজি হয়েছে।
গত ৯ অক্টোবর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) প্রধানকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালায় বলে দাবি করে ইসলামাবাদ।
এরপর আফগান সেনারা সীমান্তে পাক সেনাদের ওপর হামলা চালায়। যা পরবর্তীতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পরিণত হয়। হামলা-পাল্টা হামলায় দুই দেশেই অসংখ্য মানুষ আহত ও নিহত হয়।
এই হত্যাযজ্ঞ থামাতে তখন এগিয়ে আসে কাতার-তুরস্ক। প্রথমে কাতারের চেষ্টায় দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। এরপর দেশটির রাজধানী কাতারে আলোচনায় বসে তারা। সেখানে আলোচনা ফলপ্রসু হলে গত সপ্তাহে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আবারও বসেন তারা। কিন্তু চারদিন টানা বৈঠক করলেও দুই দেশ কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।
এরপর আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে ‘নিশ্চিহ্ন’ করে দেওয়ার হুমকি দেয় পাকিস্তান। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তালেবান নেতাদের আবারও গুহায় পাঠানো হবে।
পাকিস্তানের অভিযোগ টিটিপির সন্ত্রাসীরা আফগান সীমান্তে নিজেদের কার্যক্রম চালায় এবং পাকিস্তানে এসে হামলা চালিয়ে যায়। এতে আফগান তালেবান মদদ দেয় বলেও দাবি তাদের। কিন্তু আফগানিস্তান শুরু থেকেই এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
