
খুলনার দাকোপে জোয়ারের তোড়ে বেড়ীবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানির নীচে ঘরবাড়ি ফসলের খেত। ভেঙে যাওয়া বাঁধ সংস্কারে পাউবোর অবহেলাকে দায়ী করে গোটা ইউনিয়ন ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার ঢাকী নদীর জোয়ারের পানির চাপে দাকোপের ৩০ নং পোল্ডারের অধীন তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া হরিসভা মন্দির এলাকার আনুমানিক ২ শত ফুট ওয়াপদা বেড়ীবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এ ঘটনায় তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর কামিনীবাসিয়া, বটবুনিয়া, নিশানখালী ও আড়াখালী গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে ভেসে গেছে ঘরবাড়ি, মৎস্য ঘের, পুকুর ও ৩ হাজার বিঘা জমির আমন ফসলের খেত।
বুধবারের মধ্যে বাঁধ আটকাতে না পারলে দক্ষিণ কামিনীবাসিয়া, ভাদলা বুনিয়া, মশামারী, গড়খালী ও কাঁকড়া বুনিয়াসহ প্রায় গোটা তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন গাজী। তিনি বলেন, ভোর বেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড আরও বেশি তৎপর হয়ে ২টা বালির টিউব দিয়ে চাপান দিলে বাঁধটি আটকানো সম্ভব হত। কিন্তু তারা সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দেখা যায়, তবে উচ্চ পর্যায়ের কোন কর্মকর্তার দেখা মেলেনি। এ ছাড়া দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমত হোসেন, থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম এবং স্থানীয় সেনা ক্যাম্প কমান্ডার ভাঙন এলাকায় উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী অফিসার আসমত হোসেন বলেন, আশা করছি রাতের মধ্যে বাঁধ আটকাতে পারবো। বালির টিউবসহ অন্যান্য সামগ্রী প্রস্তুত রাখা আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সকল উদ্যোগ নিয়েছেন এমন দাবি করে তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার চিড়া গুড় এবং রান্নার জন্য চাউল, ডাল, তৈলসহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। বিকাল নাগাদ ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য পরিবার গুলোকে অনুরূপ সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ বেড়ীবাঁধের ওই অংশটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড সময় মত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় এমন ক্ষতি হল।