এই সাইটটি ভিজিটের মাধ্যমে এই সাইটের সকল প্রাইভেসি শর্তসমূহ আপনি সমর্থন করছেন
Accept
Protidin Shebok NewsportalProtidin Shebok Newsportal
Notification Show More
Aa
  • জাতীয়
    • ঢাকা
    • সারা বাংলা
  • আন্তর্জাতিক
  • খুলনা বিভাগ
    • উপজেলা
    • খুলনা জেলা
    • বাগেরহাট
    • সাতক্ষীরা
    • যশোর
    • মাগুরা
    • চুয়াডাঙ্গা
  • খেলাধুলা
  • অর্থনীতি
  • লাইফস্টাইল
  • সম্পাদকীয়
  • অন্যান্য
    • সোশ্যাল মিডিয়া
    • রুপচর্চা
    • ধর্ম
    • সফলদের গল্প
    • রাজনীতি
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • আদালত
    • চাকরি-বাকরি
    • টেক নিউজ
    • বিচিত্র
    • ফিচার
  • বিনোদন
Reading: দিনে ঘুষ ১০ লাখ টাকা
Aa
Protidin Shebok NewsportalProtidin Shebok Newsportal
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • খুলনা বিভাগ
  • খেলাধুলা
  • অর্থনীতি
  • লাইফস্টাইল
  • সম্পাদকীয়
  • অন্যান্য
  • বিনোদন
খুঁজুন
  • জাতীয়
    • ঢাকা
    • সারা বাংলা
  • আন্তর্জাতিক
  • খুলনা বিভাগ
    • উপজেলা
    • খুলনা জেলা
    • বাগেরহাট
    • সাতক্ষীরা
    • যশোর
    • মাগুরা
    • চুয়াডাঙ্গা
  • খেলাধুলা
  • অর্থনীতি
  • লাইফস্টাইল
  • সম্পাদকীয়
  • অন্যান্য
    • সোশ্যাল মিডিয়া
    • রুপচর্চা
    • ধর্ম
    • সফলদের গল্প
    • রাজনীতি
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • আদালত
    • চাকরি-বাকরি
    • টেক নিউজ
    • বিচিত্র
    • ফিচার
  • বিনোদন
Follow US
Protidin Shebok Newsportal > Blog > জাতীয় > সারা বাংলা > দিনে ঘুষ ১০ লাখ টাকা
জাতীয়সারা বাংলা

দিনে ঘুষ ১০ লাখ টাকা

Last updated: ২০২৩/০১/০৯ at ১:০৬ অপরাহ্ণ
সিনিয়র এডিটর Published জানুয়ারি ৯, ২০২৩
Share
SHARE

ছকে বাঁধা দুর্নীতির চরকি ঘুরছে পাসপোর্ট অফিসে। যেন লাগাম টানার কেউ নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একদিকে কড়াকড়ি করলে আরেক দিকে খুলে দেওয়া হয় ঘুসের নতুন পথ। এভাবে বেশিরভাগ পাসপোর্ট অফিসে রমারমা ঘুস বাণিজ্য এখনো বহাল। কথিত ‘চ্যানেল মাস্টারের’ মাধ্যমে অধিকাংশ পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন পাসপোর্ট প্রতি ঘুস তোলা হয়। যার যোগফল কয়েক কোটি টাকা। কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুস ওঠে হাতে হাতে। ঘুসের সদর দপ্তর হিসাবে পরিচিত কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসে দিনেই ঘুস ওঠে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা। সরেজমিন অনুসন্ধানে এসব বিষয়ে ওঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য। তবে প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজদের হাত অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ শক্ত ব্যবস্থা নিতে পারছে না।

সরেজমিন কুমিল্লা : ১৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টা। কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসে হাজির হয় অনুসন্ধান টিম। সপ্তাহের প্রথম কর্ম দিবস। তাই লোকে-লোকারণ্য অফিস চত্বর। প্রধান ফটক থেকে সেবাপ্রার্থীদের দীর্ঘ লাইন। লাইনটি কয়েক প্যাঁচ ঘুরে গিয়ে ঠেকেছে ভবনের বারান্দায়। দুটি কাউন্টারে আবেদন জমার কাজ চলছে। বিশেষ কিছু চিহ্ন পরীক্ষা করে একে একে আবেদন ফরম জমা নিচ্ছেন দুজন কর্মচারী। তবে চিহ্ন না থাকলে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে। এমনকি অনেককে লাইনের বাইরে বের করে দিচ্ছেন আনসার সদস্যরা। অপেক্ষমাণ কয়েকজনের আবেদন হাতে নিয়ে দেখা যায়, একেকজনের ফরমে একেক ধরনের সাংকেতিক সিল। যেমন ‘ঠিকানা’, এজে ২৩, এ+ ইত্যাদি। এগুলো হলো নির্ধারিত ঘুসের মাধ্যমে পাসপোর্ট দেওয়ার বিশেষ পদ্ধতি।

এসব সাংকেতিক চিহ্নযুক্ত সিলের রহস্য ভেদ করতে ১৯ ডিসেম্বর দালাল চক্রের ডেরায় হাজির হন প্রতিবেদক। তখন সকাল ৯টা। কুমিল্লা শহরের বাগিচাগাঁও। ডায়াবেটিক হাসপাতাল ছেড়ে কিছুদূর এগোতেই নিসা টাওয়ার। এর গলিতে দিনভর পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের ভিড়। এখানে দোকান খুলেছেন শহরের শীর্ষস্থানীয় পাসপোর্ট দালাল জাকির হোসেন ওরফে কাজল। দোকানের নাম ন্যাশনাল ট্রেডার্স। ২টি কক্ষ নিয়ে অফিস। টেবিলের একদিকে পাসপোর্ট আবেদনের স্তূপ, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি। কম্পিউটারে ফরম পূরণের সিরিয়াল দিয়ে বসে আছেন অনেকে। তাদের কেউ কেউ প্রয়োজনীয় লেনদেনও সেরে নিচ্ছেন। বেশ কয়েকটি আবেদন ফরমের পেছন পাতায় বিশেষ চিহ্নযুক্ত সিল দিচ্ছেন একজন কর্মচারী। এ সময় পাসপোর্ট প্রত্যাশী সেজে কাজলের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। কাজল বলেন, ‘এখানে ফরম পূরণ করা হয়। চার্জ ২০০ টাকা। তবে কেউ ‘চ্যানেলে’ জমা করতে চাইলে টাকা লাগবে দেড় হাজার।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, এখানে পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের ভিড়ের অন্যতম কারণ হচ্ছে-কাজল প্রভাবশালী দালাল। তার সঙ্গে কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সখ্য আছে। বিশেষ করে উপ-পরিচালক নূরুল হুদার সঙ্গে তার দহরম-মহরম ওপেন সিক্রেট। এমনকি অফিসের সরকারি গাড়িতেও ঘোরাফেরা করেন কাজল। এছাড়া শহরের অন্যতম প্রভাবশালী দালাল শাহজাহান ও তার ভাই ছোটন, নোয়াপাড়ার ইকবাল, মিজান, পল্লব, মিনহাজ, কাশেম, শাহজাহানের ছেলে সজল ও আসিফ, ইসমাইল ওরফে ভাগিনা ইসমাইল (মহিউদ্দিন এন্টারপ্রাইজ) এবং আনোয়ারকে অফিস চত্বরেই সার্বক্ষণিক দেখা যায়। নূরুল হুদা মাঝেমধ্যে দালাল কাজলকে নিয়ে শহরের বিশেষ একটি হোটেলে সকালের নাস্তা খেতেও আসেন। এত ঘনিষ্ঠতার কারণ জানতে চাইলে কাজল সাংবাদিকদের বলেন, ‘উনি আমার আত্মীয়।’ নূরুল হুদা নিজের অপরাধ আড়াল করতে কাজলের মাধ্যমে সমাজের অনেককে ম্যানেজ করেন।

অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরে কুমিল্লায় ই-পাসপোর্টের আবেদন জমা হয় ২১ হাজার ১৫৫টি। দৈনিক গড়ে এক হাজার ৩০০টির বেশি। এর ৯০ শতাংশ আসে দালাল চ্যানেলে। আবেদনপ্রতি নির্ধারিত ঘুসের রেট ১২শ টাকা। ফলে দৈনিক ঘুসের অঙ্ক দশ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। মাসের হিসাবে ২ কোটি টাকা। এখান থেকে ৭০ শতাংশ টাকা নূরুল হুদা নিজের পকেটে রাখেন। বাকি ৩০ শতাংশ অফিসের অন্যান্য স্টাফদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হয়।

সূত্র বলছে, দেশের অন্তত ৩০টি পাসপোর্ট অফিসে এ ধরনের বিশেষ ঘুস চ্যানেল চালু রয়েছে। সেখানেও কাজলের মতো বহু প্রভাবশালী দালাল রয়েছে। অফিস ভেদে চ্যানেলে ঘুস ১২শ থেকে দেড় হাজার টাকা। কুমিল্লা ছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিস, মুনসুরাবাদ, সিলেট বিভাগীয় অফিস, চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জ, নোয়াখালী, রাজশাহী, হবিগঞ্জ, গাজীপুর, নেত্রকোনা, নরসিংদী, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, শরীয়তপুর, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, সাতক্ষীরা এবং ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও উত্তরায় চালু আছে ঘুস চ্যানেল।

চ্যানেল মাস্টার : কুমিল্লা অফিসের চ্যানেল মাস্টার ছিলেন সদ্য সাবেক অ্যাকাউন্ট্যাট মোহাম্মদ আলিম উদ্দিন ভুঞা, বর্তমানে তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন অধিক্ষক আসমাউল হুসনা ওরফে মাসুদা ও আউটসোর্স কর্মচারী জাফর। এছাড়া চট্টগ্রামের মুনসুরাবাদ পাসপোর্ট অফিসের নিম্নমান সহকারী ওমর ফারুক এবং তত্ত্বাবধায়ক শওকত মোল্লা, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ অফিসের তত্ত্বাবধায়ক মুস্তাগির এবং সহকারী হিসাব কর্মকর্তা সুমন, নারায়ণগঞ্জে অধিক্ষক সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিম্নমান সহকারী নুরুদ্দিন, মুন্সীগঞ্জের অফিস সহকারী নাহিদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ফজলে এলাহী, আবেদন জমাকারী ইব্রাহিম খলিল ও গাজীপুরের সহকারী হিসাব কর্মকর্তা আনিস।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘুস চ্যানেলে আদায়কৃত বিপুল অঙ্কের অবৈধ অর্থের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পান সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধান। বাকি টাকা পিওন-দারোয়ান থেকে শুরু করে অফিস স্টাফদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করা হয়। এমনকি দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে টাকাভর্তি প্যাকেট পাঠানো হয় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পাসপোর্টের প্রধান কার্যালয়ে। সেখানে কর্মরত পরিচালক এবং উপ-পরিচালক পদমর্যাদার কয়েকজন কর্মকর্তার টেবিলে টাকার বান্ডিল ভর্তি বিশেষ প্যাকেট নিজস্ব বার্তাবাহক মারফত পৌঁছে দেওয়া হয়। এছাড়া ঘুসের ভাগ পান স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক নেতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু সদস্য এবং অখ্যাত পত্রিকার সাংবাদিক নামধারী এক শ্রেণির দালাল। তবে এসব ঘুসের কোনো অফিশিয়াল রেকর্ড থাকে না। ঘুসদাতা এবং ঘুসগ্রহীতার স্বার্থ জড়িত থাকায় এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না। তবে তাদের কারও আয়ের সঙ্গে বাস্তব জীবনযাপনের কোনো সঙ্গতি নেই।

আমলনামা : ঘুস চ্যানেলে অঢেল টাকার মালিক নাটোর অফিসের সাবেক সহকারী পরিচালক আলী আশরাফ। তার অঢেল সম্পদ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে নানা তথ্য চাউর পাসপোর্ট অধিদপ্তরে। রাজধানীর মাটিকাটা এলাকায় বহুতল বাড়ি কেনার পর তিনি লাইম লাইটে আসেন। ওই সময় তার জ্ঞাতআয়বহির্ভূত অঢেল সম্পদ নিয়ে কারও আর কিছু বুঝতে বাকি থাকে না। কোটিপতি কর্মকর্তা চট্টগ্রামের সাবেক উপ-পরিচালক মাসুম হাসান। তার বর্তমান কর্মস্থল টাঙ্গাইল। পাসপোর্ট অধিদপ্তরে তিনি ধনাঢ্য কর্মকর্তা হিসাবে পরিচিত। তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। সে সুবাদে মাসুম হাসান নিজেও নিয়মিত বিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাতায়াত করেন। অনেকেই মনে করেন, দুর্নীতি করলেও মাসুম হাসানের কিছুই হবে না। কারণ বিপদ টের পেলেই তিনি উড়াল দেবেন যুক্তরাষ্ট্রে।

ঘুস বাণিজ্য ছাড়াও দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ আছে ডিআইপি’র পাসপোর্ট শাখার উপ-পরিচালক সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। ময়মনসিংহে থাকার সময় জাল পাসপোর্ট কেলেঙ্কারিতে নাম আসে। ঘটনার পর তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু হয়। গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের তরফ থেকেও ঘটনার তদন্ত করা হয়। কিন্তু তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে সখ্যের জেরে বেঁচে যান সালাহ উদ্দীন। এছাড়া কোটিপতি হিসাবে পরিচিত বরগুনার সহকারী পরিচালক (এডি) রাশেদুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলেও কিছুই হয়নি। মন্ত্রণালয়ের তদন্তে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১৭টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। অথচ বিভাগীয় শাস্তি হিসাবে তার বেতন কাঠামো এক ধাপ নিচে নামিয়ে দেওয়া হয় লঘুদণ্ড। কিন্তু রাশেদ এখনো ঘুসের নেশা ছাড়তে পারেননি।

সূত্র জানায়, ঘুস চ্যানেলে জড়িত থাকার অভিযোগ ছাড়াও আউটসোর্সিং লোকবল নিয়োগে ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ আছে ঝিনাইদহের সাবেক অফিস প্রধান ডিএডি মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে। অধিদপ্তরে তিনি দুর্নীতিবাজ হিসাবে পরিচিত। মোজাম্মেল বর্তমানে উত্তরায় ই-পাসপোর্টে পারসোনালাইজেশন সেন্টারে কর্মরত।

সূত্র বলছে, গাজীপুরের সাবেক সহকারী পরিচালক মোরাদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঘুস বাণিজ্যের একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে দুদকে। বিদেশে স্ত্রীর চিকিৎসায় তিনি অঢেল টাকা ব্যয় করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তাকে কখনই তদন্ত অনুসন্ধানের মুখে পড়তে হয়নি। বরং উলটো চাকরি জীবনে প্রাইজ পোস্টিং বাগিয়ে নিতে সক্ষম হন মোরাদ। নারায়ণগঞ্জে কর্মরত থাকাকালে ঘুস বাণিজ্যে নাম আসে একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার। কিন্তু স্ত্রী পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় দুর্নীতিপরায়ণ ওই কর্মকর্তাকে কেউ ঘাঁটানোর সাহস পায় না। তবে সূত্র জানিয়েছে, এই দম্পতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করেছে।

সিন্ডিকেট : পাসপোর্ট অধিদপ্তরে দুর্নীতিবাজদের অনেকে একই পরিবারের সদস্য। একজন চাকরি পাওয়ার পর নিজের প্রভাব বিস্তারের শেকড় শক্তিশালী করতে তিনি তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজন থেকে অনেককে চাকরি পাইয়ে দিতে সব চেষ্টা করেন। এর ফলে অধিদপ্তরজুড়ে এখন কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিজস্ব সিন্ডিকেট বলয় গড়ে উঠেছে। যেমন-সাবেক উচ্চমান সহকারী নজরুল মোল্লার পরিবারের একাধিক সদস্য চাকরি করেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরে। তার শ্যালক পঞ্চগড় অফিসের সাবেক ডিএডি জাকির হোসেন। তিনি অঢেল সম্পদের মালিক। দুর্নীতির অভিযোগে ৪ বছর বরখাস্ত থাকার পর সম্প্রতি চাকরিতে ফিরেছেন জাকির। এছাড়া তার শ্যালক আরিফুল হকও অধিদপ্তরে চাকরি করেন উচ্চমান সহকারী পদে। প্রভাবশালী তদবিরের মুখে আরিফকে মালয়েশিয়া দূতাবাসেও পোস্টিং দেওয়া হয়। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় ফিরেছেন। এছাড়া জাকিরের আত্মীয় নিম্নমান সহকারী ইশরাত জাহান চাকরি করেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরে।

সূত্র জানায়, অফিশিয়াল পাসপোর্ট কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে চাকরিচ্যুত সাবেক পরিচালক মুন্সি মুয়িদ ইকরামের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএ) সুশান্ত সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। অফিশিয়াল পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির পর সুশান্ত কিছুদিন পলাতক ছিলেন। পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে তিনি অফিসে ফেরেন। তবে তিনি দেশে থাকা নিরাপদ মনে করেননি। তদবির করে পোস্টিং নিয়ে চলে যান মালয়েশিয়া। চার বছর পর দেশে ফেরেন তিনি। বর্তমানে তার পোস্টিং নারায়ণগঞ্জ।

এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পিও (প্রটোকল অফিসার) তোফায়েল আলম মন্ত্রণালয়ে বসে ঘুস বাণিজ্য করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। তদবির করে স্ত্রী সাহিদা খাতুনকে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে চাকরিও পাইয়ে দেন তিনি। চাকরির শুরু থেকে আগারগাঁও বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত আছেন সাহিদা। তাকে অন্যত্র কোথাও বদলি হতে হয়নি।

সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ে কর্মরত থাকার সুবাদে পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের হয়রানি করেন তোফায়েল। বিভিন্ন সময় দুদক বা মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় তদন্তের ভুয়া চিঠি তৈরি করে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠান তিনি। একপর্যায়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থও হাতিয়ে নেওয়া হয়। এভাবে তোফায়েল অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। গাজীপুরে কিনেছেন বিপুল পরিমাণ জমি। অথচ তার সঙ্গে সরাসরি কথা বললে মনে হবে, অতি সাধারণ লোক। ব্যবহার চমৎকার। যেন ‘ভাজা মাছটাও’ উলটে খেতে জানেন না।

এদিকে এসব দুর্নীতির বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে বিধি অনুযায়ী তদন্ত করা হয়। চাকরি বিধিতে যে শাস্তির কথা বলা আছে তার বাইরে শাস্তি দেওয়ার সুযোগ নেই।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঘুস চ্যানেল বা এ ধরনের দুর্নীতি ফের শুরু হয়েছে বলে তার কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে যদি এটা কেউ করে বা দুঃসাহস দেখায় তবে ছাড় দেওয়া হবে না। বর্তমান মহাপরিচালক এক্ষেত্রে কঠোর। বর্তমানে দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না এটা আমরা বলতে পারি।’

পিএসএন/এমঅ‌াই

You Might Also Like

মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ড: খুনিকে কেন ধরা হচ্ছে না, প্রশ্ন তারেক রহমানের

দেশ এখনো পুরোপুরি ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি: মৎস্য উপদেষ্টা

মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যার ঘটনায় ছায়া তদন্ত করছে র‌্যাব: ডিজি

পল্লবীতে ৫ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে হামলা-গুলি

স্বৈরাচারী ব্যবস্থা যেন ফিরে না আসে সে জন্য ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে

সিনিয়র এডিটর জানুয়ারি ৯, ২০২৩ জানুয়ারি ৯, ২০২৩
Leave a comment

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

প্রকাশক ও সম্পাদক– আলি আবরার 

নিউজরুম – শেরে বাংলা রোড, নিরালা, খুলনা

যোগাযোগ–  ৮৮০২৪৭৮৮৪৫৩২৬

 protidinshebok@gmail.com, mail@protidinshebok.com

Protidin Shebok NewsportalProtidin Shebok Newsportal

Developed by Proxima Infotech and Ali Abrar

Welcome Shebok Admin

SIgn in Protidin Shebok as an Administrator

Lost your password?