
ভ্যাকসিন প্লান্ট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. ট্রেডস গেব্রিয়েসাস। একই সঙ্গে বুস্টার ডোজের পর্যাপ্ত টিকা দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সংস্থাটির সদর দফতরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই আশ্বাস দেন তিনি।
বৈঠকে ভালো স্বাস্থ্যসেবা পেতে স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বারোপ করা হয়। সেই সঙ্গে তাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ছাড়াও চাকরির নিরাপত্তা, ভাতাসহ ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের বিষয়েও আলোচনা হয়।
দ্বিপাক্ষিক ওই বৈঠকে বাংলাদেশকে বুস্টার ডোজের পর্যাপ্ত টিকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক। সেই সঙ্গে ভ্যাকসিন প্লান্ট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষে ‘অ্যাক্রিডিয়েশন ফর দ্য ল্যাব অব ড্রাগ অ্যাডমিনিসট্রেশন অথরিটি’ প্রদানের কথাও জানানো হয়। এছাড়াও বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সংস্থাটির আগামী আঞ্চলিক নির্বাচনের বিষয়েও নানা আলোচনা হয়।
এ দিন বৈঠক শেষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। জবাবে ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক ড. টেড্রসও খুব শিগগিরই বাংলাদেশ সফরের আশাপ্রকাশ করেন।
এর আগে স্থানীয় সময় বুধবার পৃথক এক সভায় ‘হেলথ ওয়ার্কফোর্স ইনভেসমেন্ট’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে ভালো স্বাস্থ্যসেবা পেতে স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সেই সঙ্গে তাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, চাকরি নিশ্চয়তা, ইনসেনটিভ, প্রোপার ইক্যুইপমেন্ট অ্যান্ড মিশনারিস, জব সেটিসফেকশন ইত্যাদি বিষয়ের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
ওই বৈঠকে সফলভাবে কোভিড নিয়ন্ত্রণ এবং ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সুফিউবর রহমান, ড. হান্নান বলখি (এসডিজি), স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, ড. রজারিও গাসপার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।