গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন প্রায় চার শ মানুষ। তাদের নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ লাখ ৮২ হাজার।
একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা কমে এসেছে ২ লাখে। নতুনদের নিয়ে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৩ কোটি ২৯ লাখ।
২৪ ঘণ্টায় বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে তাইওয়ানে। আরও প্রাণহানিতে শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৯৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে দুই শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ৮২ হাজার ৮২১ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯০২ জন। আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৪০ হাজারের বেশি। তাদের নিয়ে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি ২৯ লাখ ৯ হাজার ৭৪৪ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৩৬৫ জন এবং মারা গেছেন ৬৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭৪ লাখ ৫০ হাজার ১৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১২ হাজার ৩২৩ জন মারা গেছেন।
দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে আছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৮ হাজার ৬৭২ জন এবং মারা গেছেন ৮৮ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৩ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৭ জনের।
ফ্রান্সে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৪৭০ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৯৯ হাজার ৮২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৩৭ জন মারা গেছেন।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৫৫৩ জন এবং মারা গেছেন ৫২ জন। যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১৪ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৯০ লাখ ৮৭ হাজার ৫৪৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৯২ হাজার ৯৪৮ জন মারা গেছেন।
ফিলিপাইনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৭ জন, সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৫৮৫ জন; জাপানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৮৭৩ জন এবং মারা গেছেন ৪৪ জন; দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ২৫৬ জন, মারা গেছেন ১৬ জন; লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৮৩৬ জন, মারা গেছেন ১৫ জন।