
গেল সপ্তাহখানেক ধরে আলোচনায় ছিলেন সৌম্য সরকার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েও ভিসা জটিলতায় যেতে পারেননি আরব আমিরাতে। এরপর ওয়ানডে দলে থাকা নাঈম শেখেরও শঙ্কা জেগেছিল সিরিজ খেলা নিয়ে।
প্রথম ওয়ানডের আগে এই ওপেনারও যেতে পারেননি আরব আমিরাতে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে দলের সঙ্গে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি। আজ শুক্রবার রাতের ফ্লাইটে আমিরাত যাচ্ছেন নাঈম, আগামীকাল ভোরে যোগ দেবেন দলের সঙ্গে। দলের জন্য আপাতত স্বস্তির খবর। পাশাপাশি ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিমের জন্যও স্বস্তির। এর আগে সৌম্যকে পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হচ্ছে আবুধাবিতে। আগামীকাল দ্বিতীয় ম্যাচ এবং ১৪ অক্টোবর শেষ ম্যাচ মাঠে গড়াবে শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে। বিসিবি ঘোষিত ১৬ সদস্যের এই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি টি-টোয়েন্টি দলে থাকা পারভেজ ইমনের, জানা গেছে কাঁধের ইনজুরিতে ভুগছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হেরে যায় টাইগাররা। আগে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর চতুর্থ উইকেটে ১০১ রানের জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয় ও মিরাজ।
হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে হৃদয়-মিরাজ আউট হলে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। ৪৬ রানে শেষ ৬ উইকেট পতনে ৪৮.৫ ওভারে ২২১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। মিরাজ সর্বোচ্চ ৬০ ও হৃদয় ৫৬ রানে আউট হন। ২২২ রানের টার্গেট স্পর্শ করতে অসুবিধা হয়নি আফগানিস্তানের। ১৭ বল বাকী থাকতে জয়ের স্বাদ নেয় আফগানরা।
বাংলাদেশ স্কোয়াড
মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, মোহাম্মদ সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামিম হোসেন পাটোয়ারী, কাজী নুরুল হাসান সোহান, রিশাদ হোসেন, তানভির ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা।