দেশে করোনা সংক্রমণের নিম্মমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১০৮ জন এবং এ সময়ে শনাক্তের হার এক দশমিক ১৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৪৮ জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি। সেইসঙ্গে গতকাল পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে তিন অঙ্কের রোগী শনাক্ত হলেও সেটা নেমে এসেছে দুই অঙ্কের ঘরে। আর দেশের দুই জেলায় শনাক্ত হয়েছে দুই অঙ্কের রোগী, এক অঙ্কের রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৪ জেলায়।
দুই অঙ্কের রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ জেলায়, ৫৪ জন এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায়, ১৪ জন।
ঢাকা বিভাগে মোট শনাক্ত হয়েছেন ৭৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে চার জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৬ জন এবং রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে একজন করে।
রংপুর, সিলেট ও খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ শনাক্ত হয়নি।
দেশে এখন করোনা পরিস্থিতি স্বস্তিদায়ক ও স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
তবে এ নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগার উপায় নেই জানিয়ে অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক রোবেদ আমিন জানিয়েছেন, করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। দীর্ঘদিন আমাদের এগুলো মেনে চলতে হবে।
এখনি মাস্ক খুলে ফেলার মতো কোনও কিছু হয়নি জানিয়ে অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ‘আমরা দেখেছি, ইতোমধ্যে অনেকেই ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা ভাবছেন, এর প্রভাব কমে গিয়েছে। রোগী শনাক্ত এবং নমুনা পরীক্ষা কমে গিয়েছে। এর জন্য অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না বা মাস্ক খুলে ফেলার পেছনে যুক্তি দিচ্ছেন।’
কিন্তু ভাইরাসের মিউটেশন হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভাইরাসের এখনও ইভাল্যুয়েশন হচ্ছে। আবারও নতুন করে কোনও ভ্যারিয়েন্ট আসবে কিনা সে শঙ্কাটা থেকেই যাচ্ছে। ওমিক্রনের যেসব নতুন নতুন উপধরণ বিএ.২ বা অন্য কিছু, তা চলে আসার সম্ভাবনা থাকবে।’
‘আমাদের যেসব রিস্কি গ্রুপগুলো আছে—ডায়াবেটিস, হাইপার টেনশন, ক্যানসারের রোগী, যারা স্টেরয়েড পাচ্ছেন; তাদের ক্ষেত্রে ওমিক্রনও সিরিয়াস আক্রান্ত করতে পারে’, বলেন অধ্যাপক রোবেদ আমিন।
পিএসএন/এমঅাই
