নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্য থেকে নিজেদের কিছু কর্মী সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের কিছু কর্মীকে সরিয়ে নেওয়া হবে। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে কিছু কর্মী সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কারণ এটি একটি ‘বিপজ্জনক’ স্থান হয়ে উঠতে পারে। ইরানকে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক অস্ত্রে ক্ষমতাধর হতে দেবে না বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প।সম্প্রতি ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ায় এ অঞ্চলের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ঠিক কোন নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।এর আগে রয়টার্স আরেক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র তাদের ইরাকি দূতাবাস আংশিক খালি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মার্কিন ও ইরাকি কয়েকটি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণে সামরিক বাহিনীর ওপর নির্ভরশীলদের দূতাবাস এলাকা ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাহরাইন ও কুয়েত থেকেও কর্মীদের স্বেচ্ছায় প্রস্থানের অনুমতি দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইরানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র কর্মী সরিয়ে নেওয়ার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ট্রাম্পের চেষ্টা এক ধরনের অচলাবস্থায় রয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দারা ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। এ বিষয়ে গতকাল ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে কারণ এটি একটি বিপজ্জনক জায়গা হয়ে উঠতে পারে। এ জন্য তাদের সরে যেতে বলা হয়েছে।’মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না। সহজ কথা, তারা পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না।’ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ সতর্ক করে বলেছেন, আলোচনা ব্যর্থ হলে কিংবা ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে হামলার আদেশ দিলে এই অঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে হামলার মাধ্যমে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।যুক্তরাষ্ট্রের সবশেষ সিদ্ধান্ত জানাতে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র দপ্তর তাদের বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ সতর্কতা আপডেট করেছে। এতে বলা হয়, ১১ জুন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে জরুরি নয় এমন মার্কিন সরকারি কর্মকর্তাদের ওই এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিচ্ছে।
