
বাসস্থানের সংকট নিরসনে প্রস্তাবিত নিরালা-২ আবাসিক প্রকল্প নিয়ে গণশুনানী করেছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে স্টাডি রিপোর্ট সম্পন্ন হয়েছে। ডুবি ও খোলাবাড়িয়া মৌজার বসবাসরতদের প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে নতুন আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়নের মঙ্গলবার সকালে সংস্থাটির মিলনায়তনে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
গণশুনানীতে সভাপতিত্ব করেন কেডিএ চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মিরাজুল ইসলাম, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। কেডিএ’র পক্ষে সার্বক্ষণিক সদস্য অধ্যাপিকা রুনা রেজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, শবনম সাবা, জামাল উদ্দিন বাচ্চু ও সংস্থাটির সচিব মোঃ তবিবুর রহমান, উপ-সচিব উপস্থিত ছিলেন।
এলাকাবাসীর পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন খোলাবাড়িয়া ও ডুবি মৌজার ভূমি রক্ষা কমিটির আহবায়ক শেখ মোঃ নাজমুল কবির সাদি, সদস্য সচিব সেলিনা ইয়াসমিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা এড. নুরুল ইসলাম, মনিরুল আলম লিটন, অধ্যাপক শেখ আজিজুল ইসলাম টিপু, মোঃ নাজিম উদ্দিন, আলাউদ্দিন হোসেন, শরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক জুবায়ের হোসেন, জাফর হোসেন, আকরাম হোসেন, সিদরাতুল মুন্তাহার, অধ্যাপক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মোঃ আবুল বাশার মীর, মাসুদ দাড়িয়া, মাহামুদ হোসেন, প্রফেসর মোঃ সাইদুজ্জামান, আব্দুল হাকিম, মোঃ সবুর শেখ, শেখ মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
ভূমি রক্ষা কমিটির বক্তারা বলেন, তাদের ভিটেবাড়ি অধিগ্রহণ করা হলে মাথা গোজার ঠাঁই থাকবে না। বসতিরা স্বল্প আয়ের মাধ্যমে জীবন যাত্রা নির্বাহ করেন।
ভূমি রক্ষা কমিটির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কেডিএ চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা না চাইলে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উলেখ্য, শহরতলির ডুবি, খোলাবাড়িয়া, মাথাভাঙ্গা, লবণচরা ও হরিণটানা মোজার দেড়শ’ একর জমি নিয়ে নিরালা-২ নামে আবাসিক প্রকল্প গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করে কেডিএ।