
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নতুন সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়েছে। এ সময় হাজার হাজার মানুষ দেশটির নতুন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। ইসরায়েলের ইতিহাসে নেতানিয়াহুকে সবচেয়ে উগ্রবাদী প্রধানমন্ত্রী মনে করা হয়, এ কারণে তার সরকারের বিরুদ্ধে উদারতাবাদীদের এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এক এএফপি সংবাদদাতা এমন তথ্য দিয়েছেন।
শনিবার ইসরায়েলি বিক্ষোভকারীরা উপকূলীয় শহর তেল আবিবে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা চিৎকার করে বলেন, গণতন্ত্র বিপদে আছে, আমরা সবাই ফ্যাসিবাদ এবং বর্ণবাদের বিরুদ্ধে একত্র হয়েছি।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের অনেকে ইসরায়েলি এবং রংধনু পতাকা দোলান। এ সময় অনেককে দেখা যায় একটি বড় ব্যানার ধরে রাখতে। ওই ব্যানারে লেখা ছিলো ‘অপরাধী মন্ত্রী’ (নেতানিয়াহু)। গত কয়েক বছর ধরে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে নিয়মিত বিক্ষোভের সময় ইসরায়েলিরা এ ধরনের স্লোগান ও ব্যানার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেন।
গত বছরের ১ নভেম্বর তারিখে নির্বাচনে জয়লাভের পর নেতানিয়াহু চরম-ডান এবং অতি উগ্রবাদী ইহুদি দলগুলোর সঙ্গে একটি জোট গঠন করেন। এরপর তিনি ওই জোটের প্রধান হিসেবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। গত মাসে তিনি এ পদ লাভ করেন। তার সরকারের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় উগ্রবাদী রাজনৈতিক দলের দখলে।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, ইসরায়েলের নতুন এই ডানপন্থী সরকার অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের নীতি অনুসরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এছাড়া এলজিবিটিকিউ (সমকামী) সম্প্রদায়ের সদস্য ও সমর্থকদের উদ্বিগ্ন করে এমন কিছু সামাজিক সংস্কার এগিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা ঘোষণা করেছে তারা।
নেতানিয়াহুর এ নতুন সরকার ইসরায়েলের বিচার ব্যবস্থাকে সংশোধন এবং সুপ্রিম কোর্টকে দুর্বল করার একটি পরিকল্পনা গত সপ্তাহে উন্মোচন করেছেন। এর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তগুলোকে অগ্রাহ্য করার অনুমতি পাবে দেশটির পার্লামেন্ট।
সূত্র : এনডিটিভি