
বর্তমানে অনেকেই কোমরের ব্যথা ও পিঠের ব্যথায় অনেকেই ভোগেন। বিশেষত পিঠের নিচের ব্যথা উদ্বেগের সৃষ্টি করছে। নানা কারণে এই স্বাস্থ্য সমস্যাটি হতে পারে। আর্থ্রাইটিস ও অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার কারণে পিঠে ব্যথা হতে পারে। অনেকসময় এই ব্যথা অসহ্য হয়ে ওঠে।
দীর্ঘস্থায়ী পিঠের ব্যথা হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। তবে ঘরে বসেও হালকা পিঠের ব্যথা দূর করা সম্ভব। কিছু ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়ে কোমরের ব্যথা ও পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
সচল থাকা
পিঠের ব্যথায় রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভুল ধারনা হলো তারা ভাবেন যে তারা হয়তো স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবেন না। চিকিৎসকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, হাঁটাচলা স্বাভাবিক রাখলে তা পিঠের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। যাদের পিঠে ব্যথা আছে তারা প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। এছাড়া শরীর সক্রিয় না থাকলে মেরুদণ্ড এবং পিঠের চারপাশের পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে ব্যথার সৃষ্টি হয়। তাই কোমরে ব্যথা থাকলে হাঁটাচলা করুন।
স্ট্রেচিং এবং শক্তি ব্যায়াম
পেটের মূল পেশীগুলো পিঠকে সাপোর্ট করতে সহায়তা করে। শক্তি ও নমনীয়তা উভয়ই ব্যথা উপশম ও প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই স্ট্রেচিং এবং পিঠকে শক্তিশালী করার ব্যায়াম করতে ভুলবেন না।
সঠিকভাবে ওঠাবসা করুন
পিঠে ব্যথা থাকলে মেরুদণ্ডকে সোজা রাখতে টেপ, স্ট্র্যাপ বা স্ট্রেচি ব্যান্ড ব্যবহার করতে পারেন। কাঁধ নাড়াবেন না। চিবুক সামনের দিকে ঝোঁকাবেন না। যদি কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে বসে কাজ করেন তবে হাত টেবিল বা ডেস্কে সমতল করে রাখুন এবং আপনার চোখ পর্দার উপরে রাখুন। মাথাও ঝোঁকাবেন না।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
দেহের বাড়তি ওজন পিঠের ব্যথা বাড়ায়। তাই এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। প্রয়োজনে এক্ষেত্রে একজন ভালো ফিটনেস প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিতে পারেন।
ধূমপান ত্যাগ করুন
গবেষণা অনুযায়ী, যারা ধূমপান করেন তাদের মেরুদণ্ডের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা ৪ গুণ বেশি। সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যের নিকোটিন মেরুদণ্ডের হাড়কে দুর্বল করে দিতে পারে।
আইস প্যাক ব্যবহার করুন
পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার পেতে আইস কম্প্রেস একটি খুব ভালো উপায় হতে পারে। পিঠে যদি ফোলা বা ব্যথা থাকে তবে বরফ সবচেয়ে বেশি উপশম দেয়। আর যদি শক্ত পেশী শিথিল করার চেষ্টা করেন তাহলে হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে পারেন।