নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নের লক্ষ্যে পে কমিশনে ১২টি প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (মৎস্য) অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে পে কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই প্রস্তাব দেন সংগঠনের নেতারা।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (মৎস্য) অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ড. মো. খালেদ কনকের নেতৃত্বে অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতিনিধি দল মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। এ সময় বিদ্যমান বেতন গ্রেড ভেঙে ১২টি এবং সর্বনিম্ন মূল বেতন ১৮ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বেতন গ্রেডের সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছানোর পর প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির দাবি করা হয়।
লিখিত প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়েছে, টেকনিক্যাল সার্ভিস/পদে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরিতে প্রবেশের সময় ২ (দুই)টি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট এবং প্রত্যেক পদোন্নতিতে ১ (এক)টি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট যোগ করতে হবে। চিকিৎসক ও প্রকৌশলী কর্মকর্তাদের অনুরূপ সব টেকনিক্যাল ক্যাডার সার্ভিস যেমন- কৃষি, মৎস্য, বন প্রভৃতি ক্যাডার কর্মকর্তাদের টেকনিক্যাল ভাতা প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড সুবিধা পুনরায় চালুর দাবি করা হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, সব ক্যাডার/সার্ভিসের ৫ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের মোটরযান (গাড়ি) ক্রয়ের লোন ও রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা প্রদান করতে হবে। প্রতিটি অর্থবছর শেষে সরকার ঘোষিত খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার অনুযায়ী সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নগদ আর্থিক সুবিধা প্রদান করতে এবং উপকূলীয় অঞ্চল, ইলিশ ও হাওরসমৃদ্ধ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল বেতনের ৩০ শতাংশ হারে ঝুঁকি ভাতা প্রদান করতে হবে।
৯ম গ্রেড ও তদূর্ধ্ব সব কর্মকর্তাকে মাসিক মোবাইল ভাতা এবং ৬ষ্ঠ গ্রেড ও তদূর্ধ্ব সকল কর্মকর্তাকে মাসিক আবাসিক টেলিফোন ভাতা প্রদান, প্রতি ২ বছর অন্তর ১৫ দিনের শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটিসহ ভাতা প্রদান এবং রাজস্ব খাতের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে উপযুক্ত রেশন দেওয়ারও প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।
এছাড়া কর্মকর্তাদের জন্য প্রতি কার্যদিবসে দৈনিক ৪০০ টাকা হারে লাঞ্চ ভাতা, পেনশন বাধ্যতামূলক ৫০ শতাংশ সমর্পণের পরিবর্তে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক পেনশন উত্তোলন বা সমর্পণের সুযোগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর ইচ্ছাধীন রাখতে হবে বলেও দাবি করেছেন সংগঠনের নেতারা।
