
শিগগিরই স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ইতালি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এই ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার লোহিত সাগরের তীরবর্তী মিসরীয় পর্যটন শহর শারম আল শেখে অনুষ্ঠিত ‘গাজা শান্তি সম্মেলন’-এ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেলোনি। সেখানে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, “ইতালি গাজায় যুদ্ধবিরতির অপেক্ষায় ছিলাম। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ— এ ইস্যুতে একটি সময়োপযোগী পরিকল্পনা প্রস্তাব করার জন্য। এখন আমরা দেখব— পরিকল্পনাটির সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন ঘটে কি না। যদি ঘটে, সেক্ষেত্রে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে আমাদের সামনে আর কোনো বাধা থাকবে না।”
“অর্থাৎ এক কথায় বললে, ইতালি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি প্রস্তুত এবং বর্তমানে আমরা এর খুব কাছাকাছি আছি।”
তিনি আরও বলেন, ইতালির লক্ষ্য হলো একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রগঠন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠনে অংশ নিতে ইতালি আগ্রহী।
মেলোনি বলেন, “ইতালি তার দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত। আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। আমি খুবই গর্বিত যে এই সম্মেলনে ইতালির উপস্থিতি আছে।”
দুই বছর সংঘাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় সমর্থন জানিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইসরায়েল ও গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। ইতোমধ্যে নিজের কব্জায় থাকা ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মির সবাইকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিনিময়ে ৩ হাজার ৭০০ কারাবন্দি ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারও শুরু করেছে ইসরায়েল।
গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মেলোনি। তিনি বলেছেন, “গাজায় যুদ্ধবিরতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক বিশাল সাফল্য। আমরা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যস্থতার ক্ষেত্রেও তাকে সফল দেখতে চাই।”