
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিন অথরিটি এবং ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এ ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তারা বলেছে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভিসা দেওয়া হবে না।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “ফিলিস্তিন অথরিটি এবং ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করায় এবং শান্তি প্রচেষ্টাকে ক্ষুন্ন করায়, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ বিবেচনা করে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।”
বিবৃতিতে মার্কিনিরা আরও বলেছে, ফিলিস্তিন অথরিটি এবং ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন ১৯৮৯ সালের পিএলও আইন এবং ২০০২ সালের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রতিশ্রুতি আইন মান্য করেনি। যারমধ্যে রয়েছে, দখলদার ইসরায়েলকে তাদের অপকর্মের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখির চেষ্টা করা, কথিত সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দেওয়া এবং কথিত সন্ত্রাসী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের অর্থ সহায়তা দেওয়া।”
আগামী সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বসবে। এই অধিবেশনে প্রতিবছর ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা অংশ নিয়ে থাকেন। যেহেতু তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এতে এবারের অধিবেশনে ফিলিস্তিনের উপস্তিতিতে প্রভাব পড়তে পারে। যদিও কতটা প্রভাব পড়বে সেটি নিশ্চিত নয়। কারণ কোন কোন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেটি প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
এবারের জাতিসংঘের অধিবেশনে ইউরোপের একাধিক দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। এর ঠিক আগেই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র।
ফিলিস্তিনি অথরিটির নেতা মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। তার ক্ষমতা মূলত পশ্চিমতীরে। যেখানে ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করেন। এছাড়া প্রায় ৫ লাখ ইসরায়েলিও সেখানে থাকে। তারা জোরপূর্বক সেখানে বসতি স্থাপন করে বসবাস করছে। অপরদিকে গাজায় রয়েছে হামাসের শাসন।