
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা দাঙা-সংঘাতে জর্জরিত পশ্চিম তীর অঞ্চলে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছে জার্মানি। এই কর্মকর্তাদের সবাই নিরস্ত্র এবং তাদের প্রধান কাজ হলো ফিলিস্তিনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আরও দক্ষ ও কার্যকর করে তোলা।
গতকাল বুধবার জার্মানির বার্তাসংস্থা জার্মান প্রেস এজেন্সি (ডিপিএ)-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সান্ডার দোবরিন্ডথ। তিনি বলেছেন, “মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তির জন্য একটি কার্যকর এবং দক্ষ পুলিশ বাহিনী থাকা অপরিহার্য। তাই আমরা গাজা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেম— তথা ফিলিস্তিনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশিক্ষণের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছি।”
ফিলিস্তিনের পুলিশ বাহিনীর পুনর্গঠন ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ জার্মানির পুলিশ কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, প্রায় দু’সপ্তাহ আগে জার্মানির ফেডারেল বা কেন্দ্রীয় পুলিশ একটি টিম ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীর এলাকায় পৌঁছেছে। এই টিমের নেতৃত্বে আছেন চার জন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ডিপিএ জানিয়েছে, এর আগে ২০২৫ সালের শুরুর দিকে গাজার সীমান্ত শহর রাফায় সেনাবাহিনীর একটি টিম পাঠিয়েছিল ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই সৈন্যদলের প্রধান কাজ ছিল রাফার সীমান্ত ক্রসিং অঞ্চলে হানাহানি বন্ধ করা। মিসরের সঙ্গে ফিলিস্তিনকে যুক্ত করেছে রাফা ক্রসিং এবং এই ক্রসিং দিয়েই মূলত গাজায় খাদ্য ও ত্রাণের সরবরাহ আসে।
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত