ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়ন মিয়া নিহতের প্রতিবাদে ফেনীতে রোববার (২০ নভেম্বর) বিকেল বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করে পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ছাত্রদল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এসময় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানায়, রোববার বিকেলে শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের গ্রিন টাওয়ারের সামনে থেকে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন। জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলনের নেতৃত্বে মিছিলে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জুয়েল পাটোয়ারী, সাইফুল ইসলাম জিকু, দফতর সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সুমন, সদর উপজেলা আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব নজরুল ইসলামসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইসলামপুর রোডে প্রবেশ করে। জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ হামলা চালিয়ে ফেনী পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইব্রাহীম হোসেন ইবু ও পাঁছগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদল কর্মী মো. রবিনকে গ্রেফতার করে। পুলিশের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হন জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলাল, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মইনুল হাসান পারভেজ, ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত, ফেনী জেলা ছাত্রদলের সদস্য মো. শরিফ ও মারুফ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, এর কিছুক্ষণ পর তাকিয়া রোডে যুবদলের কিছু নেতাকর্মী মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দিলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কথা বলতে ফেনী মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিনের মুঠোফোনের বারবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
