
ভারতের কলকাতায় শান্তা পাল নামে এক বাংলাদেশি মডেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে ভুয়া ভারতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার দাবিও করেছে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। তাকে মূলত অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাংলাদেশি এ মডেল ভারতে গুপ্তচরগিরি করছিলেন কি না সে অ্যাঙ্গেলে এখন তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কয়েক মাস আগে দেশটির হরিয়ানা রাজ্যে জয়তি মালোহোত্রা নামে এক তরুণীকে গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়। এখন বাংলাদেশি এ মডেলের বিরুদ্ধেও সম্ভাব্য গুপ্তচরগিরির তদন্ত করবে দেশটি।
শান্তা পাল ভারত-চীন-নেপাল সীমান্তে গিয়ে সেখানকার ভিডিও ধারণ করায় তার বিরুদ্ধে এ সন্দেহ তৈরি হয়েছে বলে শনিবার (২ আগস্ট) জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
শান্তা ‘আসান ট্রাভেলস কলকাতা অ্যান্ড বাংলাদেশ’ নামে একটি পেজ চালাতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেখানে পর্যটনের প্রচার প্রচারণা চালাতেন তিনি।
এছাড়া ভারতীয় কোনো ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে তিনি কলকাতায় কোনো হোটেল খুলেছেন কি না সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কলকাতার সিটি পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শান্তা পশ্চিমবঙ্গ এবং পার্শ্ববর্তী সিকিমের কিছু জায়গাতেও গিয়েছিলেন।
শান্তা মূলত একজন ট্রাভেল ব্লগার। তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন এবং সেগুলোর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশ করতেন।
তার মতো একই কাজ করতেন হরিয়ানার ইউটিউবার ও ব্লগার জয়তি মালোহোত্রা। তিনি বিভিন্ন জায়গার ভিডিও ও ছবি তুলতেন। তবে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গত মে মাসে চারদিনের দ্বন্দ্বের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়, স্পর্শকাতর জায়গার ছবি তুলে সেগুলো পাকিস্তানের গোয়েন্দা কর্মকর্তার কাছে দিয়েছেন তিনি।