করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়ছে বিশ্ব। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছেন। কোটি কোটি মানুষ এখনও এ মহামারির কারণে বিপর্যস্ত। বেশ কিছু দিন ধরে বিশ্বজুড়ে করোনার প্রভাব কমেছে। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে। যদিও মহামারি কাটিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে পৃথিবী। তবে অনেক দেশই এখনও করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তিত।
বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেছে ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস। ওই সকল তথ্যানুসারে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে ১০১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৫০ হাজার ৪৬১ জন। এছাড়া এক দিনে সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৮০ হাজার ১২৯ জন।
এ নিয়ে বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ লাখ ৯ হাজার ৮৮৩ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ৯৩৬ জনে। এছাড়া করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৬১ কোটি ৮৪ লাখ ৯৮ হাজার ১০৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছে জাপানে। দেশটিতে নতুন করে ৮১ হাজার ৪০১ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ সময়ে সেখানে মারা গেছেন ৭০ জন।
অন্যদিকে এ সময়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে জার্মানিতে। দেশটিতে ২২৭ জন করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৭ হাজার ৮২০ জনের।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকার এখনও শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৮০৭৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। একই সময়ে সেখানে মারা গেছেন ২১৭ জন।
এছাড়া ব্রাজিলে এক দিনে মারা গেছেন ৯৫ জন, ফ্রান্সে ১১৭, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩০ জন, রাশিয়ায় ৬৩ জন, তাইওয়ানে ১৫ জন এবং ইন্দোনেশিয়ায় ৩৮ জন।
মহামারি শুরুর প্রায় এক বছর পর টিকা আবিষ্কার করতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা। তারপর থেকে করোনার ঢেউ অনেকটা কমে আসে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা টিকার বুস্টার ডোজের ওপর জোর দিচ্ছে। করোনার প্রকোপ থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে বিশ্ব। এখন পর্যন্ত বিশ্বের যেসব দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছিল সবই প্রায় তুলে নেয়া হয়েছে।