শ্বাসতন্ত্রের প্রাণঘাতী রোগ করোনায় বিশ্বজুড়েই বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু। শুক্রবার করোনায় বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৪০০ জন এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় এ দিন মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৮৪০ জনের।
এছাড়া এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ লাখ ২০ হাজার ১১৯ জন।
করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স থেকে এসব তথ্য।
শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণে বিশ্বে শীর্ষে ছিল জাপান; দেশটিতে এই দিন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৭ হাজার ১৩৯ জন এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় মারা গেছেন ৩১০ জন।
এছাড়া কোভিডজনিত অসুস্থতায় এ দিন সর্বোচ্চ মৃত্যু ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, এ দিন দেশটিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩১২ জনের, আর করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ৭৯৭ জন।
জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র ব্যতীত বিশ্বের আরও যেসব দেশে সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব হলো— ব্রাজিল (মৃত ১৩৬ জন, নতুন আক্রান্ত ১৮ হাজার ২৭০ জন), জার্মানি (মৃত ১০১ জন, নতুন আক্রান্ত ৩৩ হাজার ২২৬ জন), ইতালি (মৃত ৯৯ জন, নতুন আক্রান্ত ২১ হাজার ৯৯৫ জন), ও দক্ষিণ কোরিয়া (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ১ হাজার ৬৪ জন, মৃত ৮১ জন)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৬ লাখ ৩৩ হাজার ৩২৬ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৮৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮৩৬ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন ৪৩ হাজার ৪৯০ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬০ কোটি ৪৮ লাখ ৯২ হাজার ১৬৫ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬০৪ জনের।
এছাড়া গত আড়াই বছরে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৫৭ কোটি ৯৭ লাখ ৭৩ হাজার ২৩৫ জন।
পিএসএন/এমআই