আতঙ্ক, শঙ্কা ও প্রতিরোধে শেষের পথে এগোচ্ছে মানবজাতিকে হুমকির মুখে ফেলা মহামারি করোনাভাইরাস। তবে প্রকোপ কমলেও এখনো অস্তিত্ব রয়েছে বিশ্বজুড়ে। বিভিন্ন দেশ এখনো করোনার বিস্তার রোধ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
গত একদিনে বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৫১৩ জনের। মৃত্যু হয়েছে ১১৭৭ জনের। এই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৮৬ হাজারের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসের লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬২ কোটি ৮৩ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৬৫ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৯ জনের। অদৃশ্য ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ৬০ কোটি ৭৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭২ জন।
২০১৯ সালের শেষ দিকে শুরু হওয়া এই মহামারিতে হতাহতের দিক দিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে গত একদিনে ৩৩ হাজার ৪৮৩ মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৯ কোটি ৮৭ লাখ ২৫ হাজারের বেশি জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে ২৯২ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখ ৮৯ হাজার ৩৫৫ জনের।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৪৬ লাখ ২০ হাজার ৩৫২ জনের করোনা শনাক্ত এবং ৫ লাখ ২৮ হাজার ৮৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তৃতীয় স্থানে উঠে আসা ফ্রান্সে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৬০ লাখ ৩৮ হাজার ৩২৭ জনের। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৭৫ জনের।
এছাড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে এমন দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে ব্রাজিল, পঞ্চম জার্মানি এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
কয়েকদিন ধরে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হচ্ছে জাপানে ও দক্ষিণ কোরিয়ায়। বিশ্বে যখন করোনার চিত্র নিম্নমুখী, তখন দেশটিতে নতুন করে ঢেউ শুরু হয়েছে।
মহামারি শুরুর প্রায় এক বছর পর টিকা আবিষ্কার করতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা। তারপর থেকে করোনার ঢেউ অনেকটা কমে আসে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে। যদিও মহামারি কাটিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে পৃথিবী। তবে অনেক দেশই এখনো করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তিত।