শতভাগ টিকা গ্রহীতার শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেলেও বুস্টার ডোজ নেওয়ার ছয়মাস পর শরীরের অ্যান্টিবডি কমে আসে। তাই টিকা নিলেও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
সোমবার (২২ আগস্ট) এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
বিএসএমএমইউ’র শহীদ মিল্টন হলে গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি জানান, গত এক মাস ১ম ও ২য় ডোজ করোনার টিকা গ্রহণকারী ২২৩ জনের উপর পরিচালিত এক গবেষণায় ৯৮ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। তবে ৬ মাস পর অ্যান্টিবডি কমতে থাকে। তাদের মাধ্যে ৭৩ শতাংশের অ্যান্টিবডির মাত্রা হ্রাস পেয়ে ৬৭৯২ এইউ/এমএল থেকে ৩৯৬৩ এইউ/এমএল পর্যন্ত নেমে এসেছে।
গবেষণার কাজে অংশ নেওয়া টিকা গ্রহীতা ২ জনের শরীরে কোনো অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়নি জানিয়ে উপাচার্য বলেন, তবে বুস্টার ডোজ গ্রহীতাদের শরীরে অ্যান্টিবডি আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি জানান, বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর এতে অ্যান্টিবডির মাত্রা ২০৮৭৮ এইউ/এমএল পর্যন্ত উঠে এসেছে। তবে ৬ মাস পরে তা কমে ১০৬৭৫.৭ এইউ/এমএল পর্যন্ত নেমে এসেছে। যাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে তাদের মধ্যে অ্যান্টিবডির মাত্রা বেশি। তাদের রক্তে হিমোগ্লোবিন ও প্লাটিলেটসহ অন্যান্যতে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
বুস্টার ডোজের পরও চতুর্থ ডোজ বা দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ প্রয়োজন কি না তা নিরূপণে এ গবেষণা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন গবেষণা দলের প্রধান ও হেমাটোলজি বিভাগের সভাপতি অ্যধাপক ডা. সালাহউদ্দিন শাহ।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, গবেষণা ফলাফল আমাদের একটি ভালো বিষয় দেখিয়েছে। আমরা চাই সবাই টিকার আওতায় আসুক, দেশের প্রতিটি মানুষ সুস্থ থাকুক। কিন্তু টিকা নেওয়ার মতো লোক নেই। আমরা দেখছি যে, ক্যাম্পেইন ছাড়া আসলে টিকা নেওয়ার মতো লোকজন আসছে না। আমাদের কেন্দ্রে ৫ হাজার ডোজ দেওয়ার সক্ষমতা আছে, কিন্তু এক হাজার মানুষও আসছে না। মিডিয়াকে ভূমিকা রাখতে হবে।
উপাচার্য বলেন, করোনা হওয়ার পর ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনসহ অন্যান্য অনেক কিছুই দেখতে পাচ্ছি। কারও কারও কোলেস্টেরল লেভেল চেঞ্জ হয়ে গেছে। করোনা মোকাবিলায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে টিকা নিয়ে নিতে হবে।
পি এস/এন আই