
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের আবারও ব্যাপক প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পারমাণবিক উত্তেজনার মধ্যেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ এড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
বুধবার ন্যাটো সম্মেলনের শেষে হেগে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, গত মাসে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধাবস্থার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা বিশ্বব্যাপী চলমান উত্তেজনাগুলোর মধ্যে “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংকট” ছিল। তিনি দাবি করেন, বাণিজ্যের প্রশ্নে দুই দেশের সঙ্গে ফোনালাপের মাধ্যমেই তিনি পরিস্থিতি শান্ত করেন।
ট্রাম্প বলেন, “এটা এমন না যে, ভবিষ্যতে ওরা পারমাণবিক অস্ত্র পেতে পারে— যেমনটা আমরা মধ্যপ্রাচ্যে বা ইসরায়েল-ইরানের প্রসঙ্গে বলছি। এরা আগে থেকেই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ।”
তিনি জানান, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেওয়ার পর তিনি ফোন করে বলেন, “যদি তোমরা লড়াই করতে চাও, তাহলে আমরা কোনও বাণিজ্য করব না”। তখন উভয় পক্ষই বলেন, “না না, আমরা বাণিজ্য চুক্তি চাই।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “আমি পাকিস্তানের একজন জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, যিনি খুবই প্রভাবশালী একজন মানুষ। তিনি আমার অফিসে এসেছিলেন। আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিরও বন্ধু। তিনিও একজন অসাধারণ মানুষ। আমি তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলাম— যদি লড়াই করো, তাহলে (যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে) বাণিজ্য করা হবে না।”
তিনি বলেন, “তারা বলল, ‘না, আমরা বাণিজ্য চুক্তিই চাই’। এবং এইভাবেই পারমাণবিক যুদ্ধ থেমে যায়।”
ট্রাম্প সরাসরি আসিম মুনিরের নাম নেননি, তবে এর আগেও তিনি মুনিরকে “ব্যতিক্রমী মানুষ এবং অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্ব” বলে উল্লেখ করেছেন।
ট্রাম্পের এই বক্তব্য মূলত পাকিস্তানের অবস্থানকেই সমর্থন করছে। কারণ পাকিস্তানও বলে আসছে, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপেই উত্তেজনা কমে। যদিও ভারত সরকার বরাবরই দাবি করে আসছে, মে মাসে দুই দেশের মধ্যে যে সংকট তৈরি হয়েছিল, তা তারা ‘নিজেদের সিদ্ধান্তেই’ সামাল দেয় এবং যুক্তরাষ্ট্র কোনও মধ্যস্থতা করেনি।