তাইপিং বিদ্রোহ : ১৮৫১-১৮৬৪ সালে এ যুদ্ধ সংগঠিত হয়। এতে ২ কোটি মানুষ প্রাণ হারায়। এটি চীনের সবচেয়ে বড় গৃহযুদ্ধ।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ : ১৯১৪-১৯১৮ সালে এই যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ১ কোটি ৫০ লক্ষ থেকে ৬ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ নিহত হন। মূলত ইউরোপ কেন্দ্রীক এই যুদ্ধে লড়াই করেছিলেন প্রায় ৭ কোটি সেনা। এদের মধ্যে প্রায় এক কোটির মৃত্যু হয়।
মোঙ্গল শাসনকাল : ১২০৭-১৪৭২ সালে সংগঠিত এ যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ৩ কোটি থেকে ৬ কোটি। প্রায় দুইশ’ বছর স্থায়ী ছিল মোঙ্গল সাম্রাজ্য। পূর্ব ইউরোপ থেকে জাপান এবং সাইবেরিয়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এই সাম্রাজ্য। ভয়ঙ্কর মোঙ্গলদের আক্রমণে এই সব অঞ্চলে সব মিলিয়ে মারা গিয়েছিলেন প্রায় ছয় কোটি মানুষ।
লুসান রেবেলিয়ন : ৭৫৫-১৭৬৩ সালে সংগঠিত এ যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লক্ষ থেকে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ। চীনে ট্যাঙ্গ এবং ইয়ান রাজবংশের মধ্যে সিংহাসন দখলের এই লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় দুই কোটি মানুষের।
কুইঙ্গ সাম্রাজ্যের পতন : এ যুদ্ধ ১৬১৬- ১৬৬২ সংগঠিত হয়েছিলো। এতে মৃতের সংখ্যা ২কোটি ৫০ লক্ষ। চীনের সর্বশেষ রাজবংশ হল কুইঙ্গ। মিঙ্গদের আক্রমণে এই রাজবংশের পতন হয়। সেই যুদ্ধে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় আড়াই কোটি মানুষের।
তৈমুর লং : ১৩৬৯-১৪০৫ সালে এই যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিলো। এতে মৃতের সংখ্যা ১ কোটি ৫০ লক্ষ থেকে ২ কোটি। মোঙ্গল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুদ্ধ করেন তৈমুর লং। ভয়ঙ্কর তৈমুরের হাতে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় দুই কোটি মানুষের।
দুনগান অভ্যুত্থান : ১৮৬২-১৮৭৭ সালে সংগঠিত এ যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ৮০ লক্ষ থেকে ১ কোটি ২০ লক্ষ। চীনে দুনগান জাতি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল কুইঙ্গ রাজবংশের বিরুদ্ধে। গৃহযুদ্ধে প্রায় এক কোটি মানুষের মৃত্যু হয়।
রাশিয়ার গৃহযুদ্ধ : ১৯১৭-১৯২১ সালে সংগঠিত যুদ্ধে ৫০ লক্ষ থেকে ৯০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়। বলশেভিক পার্টির অভ্যুত্থান এবং ক্ষমতা দখলের সেই গৃহযুদ্ধে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষের।
নাপোলিওনিক যুদ্ধ : ১৮০৩-১৮১৫ সালে সংগঠিত হওয়া এ যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ৩৫ লক্ষ থেকে ৭০ লক্ষ। এক সঙ্গে একাধিক দেশ নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল সেই সময়ে। প্রায় বারো বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে চলা সেই যুদ্ধে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষের।
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত