
মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বন্যায় উত্তর মালয়েশিয়ায় ১ লাখ ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।দক্ষিণ থাইল্যান্ডেও প্রায় ১৩ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এভাবে ভারি বর্ষণ চলতে থাকলে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
খবর বিবিসিরদেশ দুটিতে জরুরি সেবার সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত মানুষদের জন্য খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মালয়েশিয়ায় বন্যার পানিতে গাড়ি ও ঘর-বাড়ি ভেসে আছে এবং লোকজন কোমর সমান পানিতে হাঁটাচলা করছে।
এছাড়াও থাইল্যান্ডের সাটেং নক জেলায় একটি বাড়ির ছাদ থেকে এক শিশুকে উদ্ধার করার ভিডিও ফুটেজটিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় ৫ লাখ ৩৪ হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতি এড়াতে দুটি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন শিনাওয়াত্রা প্রতিটি প্রদেশে ত্রাণ সহায়তার জন্য ৫০ মিলিয়ন থাই বাথ বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় আনার চেষ্টা চলছে।এর আগে ২০২১ সালে মালয়েশিয়ায় এক ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ১৪ জন প্রাণ হারান। আর ২০১১ সালে থাইল্যান্ডে বন্যায় অন্তত ৫০০ জনের মৃত্যু হয় এবং লক্ষাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।