রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান শ্রেণির এই শিক্ষার্থী দুই থেকে তিনদিন যাবৎ সর্দি জ্বরে ভুগছেন। এর মধ্যেই তার রুমমেট রাজ কবিরাজও টানা বেশ কয়েকদিন শরীর ব্যথাসহ সর্দি জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। তবে তিনি করোনা বা ডেঙ্গু কোনো পরীক্ষায় করাননি। কয়েকদিন প্যারসিটামল ও বিশ্রামে থাকার পর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে তুহিন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘গত পরশু ক্লাস শেষে বাসায় ফেরার পথে বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম। সারাদিন প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ক্লাস করেছি। গরম ও যানযটে নাকাল অবস্থায় বাস থেকে নেমেই বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে। এতে সেদিন রাত থেকে থেকেই সর্দি লেগে যায় এবং পরদিন সকাল থেকে জ্বর। জ্বর-সর্দির সাথে মাথা ব্যথা ও অল্প শরীর ব্যথা রয়েছে। প্যারাসিটামল খাচ্ছি আশাকরি শিগগিরই সুস্থ হয়ে যাবো। এর আগে আমার রুমমেটের জ্বর হয়েছিল তবে তার সাথে আমার জ্বরের সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না। এটা সম্ভবত বৃষ্টিতে ভেজার জন্য হয়েছে অথবা শুধুই মৌসুমি জ্বর।’
রাজ কবিরাজ বলেন, ‘আমার জ্বর ও শরীর ব্যথা ছিল। তবে প্যারাসিটামল খাওয়ার পর দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই তা ছেড়ে দিয়েছে। অন্য কোনো বিশেষ সমস্যা না হওয়ায় করোনা পরীক্ষা করাইনি। আমাদের মেসের অন্য কোনো সদস্যদের মধ্যেও জ্বর বা অন্য কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। আমি সুস্থ হওয়ার কয়েক দিন পরেই বৃষ্টিতে ভিজে আমার রুমমেটের জ্বর এসেছে।’
রাজ ও তুহিনের মতো রাজধানীসহ সারাদেশেই এ ধরণের রোগী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিবছর এই সময়ে ঋতু পরিবর্তনের ফলে জ্বর, সর্দি, কাশির প্রদুর্ভাব দেখা দেয়। তবে একই সময়ে মহামারি করোনা ও এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় জ্বরে আক্রান্তদের অধিক সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
এন আই
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত