
খুলনা মহানগর আ’লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরে সারাদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা ও মৌলিক গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। দেশে চলে হত্যা, জেল জুলুম নির্যাতন। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু পরিবারের খুলনায় রেখে যাওয়া সর্বশেষ সদস্যদের উপর চলে অমানসিক নির্যাতন ও জুলুম। বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্রদের কোন স্কুল কলেজে পড়তে দেয়া হয়নি। জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে বেগম রাজিয়া নাসের সন্তানদের লেখাপড়া শেখান। এতো কিছুর পরেও তিনি হাল ছাড়েননি বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া রাজনীতির। তিনি আরও বলেন, রাজিয়া নাসের ’৭৫ পরবর্তীতে খুলনার রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। তিনি শুধু সন্তান সংসারই দেখেননি। এর পাশাপাশি খুলনার আ’লীগের রাজনীতিকে সুসংগঠিত করেছেন। তিনি আমাদের সাহস জুগিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, খুলনায় ঐ বাড়িটিকে ঘিরেই আ’লীগের রাজনীতি। তিনি সব সময়ই দলের সকলকে এক হয়ে চলার পরামর্শ দিতেন। তিনি খুলনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যা আজকে আ’লীগকে শক্তিশালী সংগঠনে রুপদান করেছে। এ সময়ে মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেন, খুলনার রাজীতিতে রাজিয়া নাসের সিনিয়র নেতাদের খুবই গুরুত্ব দিতেন। তার মধ্যে শামসুর রহমান মানি, এম এ বারি, এমদাদুল হক মোল¬া ও বেলায়েত হোসেন বাচ্চু মিয়া অন্যতম। এছাড়া পরবর্তী প্রজন্মের তরুণ নেতা হিসেবে শেখ শহিদুল হককে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। তার কাছে মঞ্জুরুল ইমাম, তালুকদার আব্দুল খালেক এবং মোস্তফা রশিদী সুজা প্রতিনিয়ত পরামর্শ নিতে যেতেন এবং আমারও তার সান্নিধ্যে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। বুধবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে রাজিয়া নাসেরের ২য় মৃত্যুবার্ষিকীতে খুলনা মহানগর আ’লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সহ-সভাপতি কাজী এনায়েত হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, সদর থানা আ’লীগের সভাপতি এড. মোঃ সাইফুল ইসলাম। মহানগর আ’লীগ দপ্তর সম্পাদক মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন আ’লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, মোঃ আশরাফুল ইসলাম, শেখ মোঃ ফারুক আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আলমগীর কবির, এড. খন্দকার মজিবর রহমান, প্যানেল মেয়র আমিনুল ইসলাম মুন্না, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, এড. অলোকা নন্দা দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, কামরুল ইসলাম বাবলু, হাফেজ মোঃ শামীম, মোঃ মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, অধ্যা. রুনু ইকবাল, তসলিম আহমেদ আশা, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, এস এম আকিল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, প্যানেল মেয়র এড. মেমরী সুফিয়ার রহমান শুনু, কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ বিকু, মহিলা কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, কাউন্সিলর মনিরা আক্তার, কাউন্সিলর শাহিদা বেগম, কাউন্সিলর পারভিন আক্তার, কাউন্সিলর কণিকা সাহা, এড. সুলতানা রহমান শিল্পী, এড. একেএম শাহজাহান কচি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোতালেব মিয়া, রনজিত কুমার ঘোষ, মোঃ সফিকুর রহমান পলাশ, আফসানা ফেরদৌস কেকা, এম এ নাসিম শেখ, শাহাজালাল হোসেন সুজন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, এড. তারিক মাহমুদ তারা, এড. কে এম ইকবাল হোসেন, শাহীন আলম, পারভিন ইলিয়াছ, নূরীনা রহমান বিউটি, নুর জাহান রুমি, শারমিন রহমান শিখা, মীর বরকত আলী, এড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, আফরোজা জেসমিন বিথী, মোঃ আমির হোসেন, মোঃ রুহুল আমিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী, বাদল সরদার বাবুল, চ ম মজিবর রহমান, মোঃ জাহিদুল হক, মঈনুল ইসলাম নাসির, শেখ আবিদ উল¬াহ, ফেরদৌস হোসেন লাবু, এড. মোঃ ফারুক হোসেন, জামিরুল হুদা জহর, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, শেখ এশারুল হক, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, সরদার আব্দুল হালিম, মোতালেব মিয়া, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, আজম খান, সেলিম মুন্সি, শেখ মোঃ রুহুল আমিন, মোঃ শিহাব উদ্দিন, মীর মোঃ লিটন, মোঃ জাকির হোসেন, মুন্সি নাহিদুজ্জামান, মোঃ শাকিল আহমেদ, রোজি ইসলাম নদী, এস এম হাফিজুর রহমান হাফিজ, কবির পাঠান, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, জিলহজ্ব হাওলাদার, বলাকা রায়, আঞ্জুমানোয়ারা, তাসলিমা আক্তার লিমা, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুরা, জেসমিন সুলতানা শম্পা, বিনু ইসলাম, মেহজাবিন খান, রেখা খানম, ফেরদৌস আলম রিতা, শবনম মুস্তারি বকুল, খায়রুজ্জামান টল বাবু, মাহমুদুর রহমান রাজেস, এম এ হাসান সবুজ, ওমর কামালসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।স্মরণ সভা শেষে মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দিনব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে কোরআন খানি অনুষ্ঠিত হয়।এদিকে বাদ আছর মরহুমার পরিবারের পক্ষ থেকে তার সুযোগ্য পুত্র বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বর শেখ সোহেল উদ্দিনের তত্ত¡াবধায়নে শেরে বাংলা রোডস্থ বাসভবনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দিনব্যাপী বাড়িতে এবং শহিদ শেখ আবু নাসের হাফেজিয়া মাদ্রাসায় কোরআন খতম অনুষ্ঠিত হয়। এ সকল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আ’লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, মহানগর আ’লীগের সহ-সভাপতি কাজি আমিনুল হক, কাজী এনায়েত হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, আ’লীগ নেতা অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, মোঃ আশরাফুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ কামাল, মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, কামরুল ইসলাম বাবলু, হাফেজ মোঃ শামীম, মোঃ মফিদুল ইসলাম টুটুল, এড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর ফকির মোঃ সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, কাউন্সিলর মোঃ গাউসুল আজম, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, এস এম আকিল উদ্দিন, মোঃ সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেলসহ থানা ও ওয়ার্ড আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এবং বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।