আগামীকাল রোববার (২২ জুন) বিকেল পাঁচটায় শেষ হতে যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আবেদন জমা দেওয়ার সময়।
ইসির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ১০০ টির মতো নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পাওয়ার জন্য আবেদন করেছে। ইতোমধ্যে আবেদন করা দলগুলোর যাচাই-বাছাই শুরু করে দিয়েছি আমরা। আবার আগামীকাল যদি কোনো দল আবেদন করে সেটিও আমরা যাচাই-বাছাই শুরু করে দেব। তারপর মাঠ পর্যায়ে কাজ পরিচালনা করা হবে।
এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বেশ কিছু দলের আবেদনের প্রক্ষিতে দেড় মাসের মতো সময় বৃদ্ধি করে ইসি। এনসিপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল রোববার আবেদন করার কথা রয়েছে।
আইন অনুযায়ী, ইসির নিবন্ধন পেতে হলে একটি দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি থাকতে হবে। এছাড়াও কোনো দলের কেউ পূর্বে সংসদ সদস্য থাকলে বা পূর্বের নির্বাচনের পাঁচ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।
ইসিতে বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), এবি পার্টি, নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), মাহমুদুর রহমানের নাগরিক ঐক্য এবং গণসংহতি আন্দোলন নামের দলগুলোকে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এগুলোর প্রায় প্রতিটিই আবেদনের পাঁচ থেকে ছয় বছর পর আদালতের আদেশে নিবন্ধন পেয়েছে।
নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করে ইসি। দলগুলো হলো- জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা। সম্প্রতি আদালতের আদেশে জামায়াতে ইসলামী ও জাগপা নিবন্ধন ফিরে পেলেও ইসি এখনও প্রজ্ঞাপন জারি করেনি।