
শুরুতে আফগান ব্যাটাররা যেভাবে ব্যাটিং করছিল, তাতে মনে হচ্ছিল অন্তত ৩২০ থেকে ৩৪০ রান পর্যন্তও হতে পারে; কিন্তু ম্যাচের মাঝপথে আফগানিস্তান ব্যাটিংকে চেপে ধরেন সাইফ হাসান। দ্রুত উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের রান তোলার গতি কিছুটা কমিয়ে দিয়েছিলেন।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে আবারও ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি। ৩৭ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে আফগানিস্তানের ইনিংসকে নিয়ে গেলেন চ্যালেঞ্জিং পর্যায়ে। জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ২৯৪ রানের লক্ষ্য বেধে দিয়েছে আফগানরা।
প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছিলো আফগানিস্তান। শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশের সম্মান রক্ষার। অন্যদিকে আফগানিস্তানের লক্ষ্য বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করা।
এমন সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিল আফগান টপ অর্ডার ব্যাটাররা। দুই ওপেনার মিলে আফগানদের ৯৯ রানের জুটি উপহার দেন।
ওভারপ্রতি ৬ এর বেশি রান তুলে ১৬ ওভারে ৯৯ রান করে বিচ্ছিন্ন হয় ওপেনিং জুটি। তানভির ইসলামের ঘূর্ণি বলে এলবিডব্লিউ আউট হন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ৪২ রান করে আউট হন তিনি। এরপর সেদিকুল্লাহ আতাল এবং ইবরাহিম জাদরান মিলে ৭৪ রানের জুটি গড়ে তোলেন।
৩২তম ওভারে গিয়ে এই জুটি ভাঙেন সাইফ হাসান। ৪৭ বলে ২৯ রান করে আউট হন সেদিকুল্লাহ আতাল। এরপর ব্যাট করতে এসে সাইফ হাসানের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হন হাশমতউল্লাহ শহিদি। ১০ বলে ২ রান করে আউট হন হাশমতউল্লাহ শহিদি। ২ রান করে আউট হলেন ইকরাম আলিখিল। ৯৫ রানের মাথায় রানআউট হলেন ইবরাহিম জাদরান। মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেন তিনি।
১৭৩ রান থেকে ১৮৮ – এই ১৫ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান। ৩টি উইকেট নিয়েছেন সাইফ হাসান। একটি হলো রানআউট।
এরপরই আজমতউল্লাহ ওমরজাই এবং মোহাম্মদ নবির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় আফগানরা। ২১ বলে ২০ রান করে আউট হন আজমতউল্লাহ। ৩৭ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ৬২ রানের ইনিংস সাজান মোহাম্মদ নবি। ১০ রান করেন নানগেয়ালিয়া খারোত। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯৩ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।
সাইফ হাসানের ৩ উইকেট ছাড়া ২টি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ এবং তানভির ইসলাম। ১ উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।