
যুদ্ধবিরতি চুক্তির খবর সামনে আসার পরপরই রাশিয়া ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত শর্ত দিচ্ছে। এটি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পুরোনো কৌশল।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) প্যারিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। চলতি সপ্তাহেই রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর সম্পর্কিত একটি চুক্তিতে সম্মত হয়। এর ফলে ওই অঞ্চলে বাণিজ্য পুনরায় শুরু হওয়ার কথা ছিল।
স্টারমার বলেন, চুক্তির খবর আসার পরপরই মস্কো অতিরিক্ত শর্ত যোগ করেছে। এটি স্পষ্ট যে রাশিয়া সময়ক্ষেপণ ও চালবাজি করছে। এটি পুতিনের ক্ল্যাসিক কৌশল।
তিনি বলেন, সমমনাদের জোট একমত হয়েছে, ইউক্রেনে শান্তি আনার জন্য তাদের আরও পদক্ষেপ নিতে হবে। শান্তি অর্জনের জন্য সামরিক চাপ বাড়ানো হবে বলেও জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
স্টারমার বলেন, ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি অর্জনই সমমনাদের জোটের প্রধান লক্ষ্য।
তিনি জানান, সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা স্পষ্ট ছিল। যখনই একটি সুস্পষ্ট শান্তিচুক্তির কাঠামো তৈরি হবে, আমরা তা বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত থাকব।
তিনি ইঙ্গিত দেন, এসব বিষয় ইউরোপকে এমন এক মাত্রায় ঐক্যে নিয়ে এসেছে, যা কয়েক দশক ধরে দেখা যায়নি। তিনি যোগ করেন, শান্তি শুধু ইউক্রেনের জন্যই নয়, বরং ব্রিটেনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইউরোপীয় দেশগুলো বৃহস্পতিবার প্যারিসে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরিবর্তে আরও কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে যুদ্ধের পর ইউক্রেনে নিরাপত্তা নিশ্চিতকারী বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা তৈরি করছে ব্রিটেন ও ফ্রান্স।