
দক্ষ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ২২শ কোটি টাকার প্রকল্প আসছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মো. মোশাররফ হোসেন।
আনিসুল হক জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিচার বিভাগকে ডিজিটাইজেশন করতে দুই হাজার ২২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ই-জুডিশিয়ারি’ শীর্ষক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি শিগগিরই একনেক বৈঠকে উত্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিচার বিভাগ ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়া তরান্বিত হবে। এতে একটি দক্ষ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।
আইনমন্ত্রী জানান, ‘ই-জুডিশিয়ারি’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রতিটি আদালতকে ই-কোর্ট রুমে পরিণত করা হবে। আটক দুর্ধর্ষ আসামিদের আদালতে হাজির না করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালনা করা হবে। প্রতিটি আদালত ও বিচারকার্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত থানা, হাসপাতাল, কারাগারসহ সবাইকে সেন্ট্রাল নেটওয়ার্কের সংযুক্ত করা সম্ভব হবে। এতে বিচারপ্রার্থী জনগণের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে।
আওয়ামী লীগের সদস্য এম. আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে আইনমন্ত্রী এ তথ্য জানান, দেশে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের ৩৬৯টি আইন চালু রয়েছে। দেশের প্রচলিত আইনের সংস্কার, সংশোধন ও আধুনিকীকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ লক্ষ্যে অপ্রয়োজনীয় আইনসমূহ বাতিল, প্রচলিত আইনসমূহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সেগুলো যুগোপযোগী সংস্কার, সংশোধন অথবা ক্ষেত্রমতো নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়।
তিনি আরও জানান, বিদ্যমান আইনসমূহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রশাসনিক এখতিয়ারাধীন। কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগ থেকে প্রচলিত কোনো আইনকে সংশোধন করার প্রয়োজন হলে বা নতুন আইন প্রণয়ন করতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠানো হলে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
পিএসএন/এমঅাই