
একবারই বাংলাদেশ এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলেছিল। সেটা ১৯৮০ সালে। হামজা-সামিত আসায় ৪৫ বছর পর আবার এশিয়া কাপ খেলার স্বপ্ন জেগেছিল বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মনে। আজ হংকংয়ের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে ড্রয়ের পর সেই সম্ভাবনা অনেকটাই শেষ হয়ে যায়। আর ঘন্টা দুই পর ভারত সিঙ্গাপুরের কাছে হারায় টুর্নামেন্ট থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ের ঘণ্টা বাজে বাংলাদেশ ও ভারতের।
হংকংয়ে বাংলাদেশ তিন পয়েন্টে লক্ষ্যে গেলেও এক পয়েন্ট পেয়েছে। সেই এক পয়েন্ট পেয়েই কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা যেন সন্তুষ্টির ঢেকুর তুলছেন, ‘স্বাভাবিকভাবে আমাদের মনে হচ্ছে আমরা আরও বেশি পয়েন্ট পাওয়ার যোগ্য ছিলাম, কিন্তু এই উইন্ডো শেষ করেছি এক পয়েন্ট নিয়ে। তবে পয়েন্টের হিসাবের বাইরে গিয়ে বললে, ম্যাচটি ছিল খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।’
ম্যাচের প্রথমার্ধে তারিক কাজী ফাউল করে প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি উপহার দেন। কোচ ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তারিককে সরাসরি কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চান না, ‘তারিকের সঙ্গে কথা বলেছি, সে নিশ্চিত, বলটা আগে ছুঁয়েছিল। ঘটনাটা ৫০-৫০ হতে পারে। কিন্তু ওর বিশ্বাস, সে বলটাই আগে টাচ করেছিল। আমি কিছু বলতে পারছি না, কারণ ভিডিও দেখিনি। এটা দুর্ভাগ্য ছিল কি না সে কথা ভাবার সময় নয়।’
বাংলাদেশ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে এখনো তিন পয়েন্ট পায়নি কোনো ম্যাচে। এরপরও ফুটবলারদের খেলায় তিনি সন্তুষ্ট, ‘দলটা ক্রমাগত উন্নতি করছে, এবং এমন সময়েও আরও ভালো ফুটবল খেলছে যখন মনে হয়েছিল আগের ম্যাচের পারফরম্যান্স ছাড়িয়ে যাওয়া কঠিন হবে। কিন্তু এই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আমরা কিছু মুহূর্তে সত্যিই খুব মানসম্পন্ন ফুটবল খেলেছি।’
বাংলাদেশ দলের প্রাণভোমরা হামজা দেওয়ান চৌধুরি। তিনি আজ ম্যাচের পর ব্রডকাস্ট চ্যানেল ও মিক্সড জোনে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডে খেলেছি, কিন্তু এখানকার এই স্টেডিয়ামটিও সম্ভবত সেরাদের মধ্যে একটি। পরিবেশটা অসাধারণ, গোলপোস্টের পেছনে থাকা সমর্থকদের উচ্ছ্বাস দেখলেই বোঝা যায়, তারা কতটা দুর্দান্ত। আমরা হারছি এটা দুঃখজনক, তবে প্রতি ম্যাচে আমরা উন্নতি করছি।’