
খুলনায় বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে মারধর, হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে করা পৃথক তিন মামলায় বিএনপি, যুবদল, ও ছাত্রদলের ৬৩ নেতাকর্মীকে আগাম জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিএনপি নেতাকর্মীদের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার শফিউল আলম মাহমুদ। তাদের সঙ্গে ছিলেন মো. মাকসুদ উল্লাহ, রুকনুজ্জামান সুজা, মো. সাগর হোসেন, জিয়াউর রহমান, রবিউল আলম প্রমুখ।
আইনজীবীরা জানান, গত ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপি বিভাগীয় গণসমাবেশ করে। ওইদিন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে পরদিন ২৩ অক্টোবর দৌলতপুর থানায় বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
অন্যদিকে ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের দিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে ১২ জনকে আসামি করে ২৬ অক্টোবর সোনাডাঙ্গা থানায় আরেকটি মামলা করা হয়। এ তিন মামলার ৬৩ আসামি হাইকোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিন আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত তাদের ছয় সপ্তাহের জামিন দেন। একইসঙ্গে এসময়ের মধ্যে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে বলেও জানান আইনজীবীরা।
খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে মারধর, হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে দৌলতপুর থানায় ২৩ অক্টোবর করা দুটি মামলার একটিতে আসামি করা হয়েছে ১৫০-১৭০ জনকে। অন্য মামলায় ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫৯ জনকে আসামি করা হয়। আর সোনাডাঙ্গা থানায় করা অন্য এক মামলায় ১২ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা সবাই বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।