ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িয়ে পড়লে তেহরান ‘কঠোর জবাব’ দেবে বলে ওয়াশিংটনকে জানিয়ে দিয়েছে ইরান। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আলি বাহরেইনি জেনেভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আলি বাহরেইনি বলেছেন, ‘‘আমরা ইসরায়েলের কার্যক্রমের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রকে সহানুভূতিশীল কিংবা জড়িত বলে মনে করছি।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা ইসরায়েলকে যেভাবে জবাব দিচ্ছি, ঠিক একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রকেও দেব। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সামরিক বাহিনী উপযুক্ত, সমানুপাতিক ও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে। আমরা এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার মাত্রা সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছি…। যখনই প্রয়োজন হবে, আমরা প্রতিক্রিয়া দেখাব।’’
বুধবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র এখনও সরাসরি কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। বরং তারা এই সংঘাতে পরোক্ষভাবে যেমন—ইসরায়েলের দিকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সহায়তা করছে।
তবে দুই দেশের চলমান উত্তেজনায় মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসনের অন্তত তিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে অন্যান্য কিছু যুদ্ধবিমানের মোতায়েনও বৃদ্ধি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের অংশ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে, মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে দেওয়া এক পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত বাহরেইনি ট্রাম্পের মন্তব্যকে ‘‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও চরম শত্রুতাপূর্ণ’’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা এসব কথা উপেক্ষা করতে পারি না। ট্রাম্প যা বলছেন, আমরা তা সতর্কভাবে নজরদারি করছি। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেব।’’
বাহরেইনি বলেন, ইসরায়েলের হামলার আরও কঠোর জবাব দেবে ইরান। আমাদের জনগণ, নিরাপত্তা ও ভূখণ্ড রক্ষায় আমরা কোনও ধরনের দ্বিধা করব না। আমরা অত্যন্ত কঠোর, শক্তিশালী ও দায়িত্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দেখাব।