
পিরিয়ড কোনো অসুখ না, এটা নারী জীবনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পিরিয়ডের সময়ে অবশ্যই হাইজিনের প্রতি নজর দিতে হবে প্রতিটি নারীকে।
তবে পিরিয়ড হলে বাইরে যাওয়া বন্ধ করে ঘরে বসে থাকারও প্রয়োজন নেই।
যে নারীদের দীর্ঘ সময় স্কুল, কলেজ, অফিস বা ভ্রমণে বাইরে থাকতে হয়, বার বার ন্যাপকিন বদলানোর সুযোগ থাকে না। তাদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিনের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড সেনোরা নতুন ওয়েটলক টেকনোলজির সঙ্গে নতুন প্যাকে বাজারে এনেছে। এটি আরো উন্নত, আরো অ্যাডভান্সড টেকনোলজিতে, যেটি খুব দ্রুত লিকুইড শুষে নিতে পারে। ফলে নারীকে সুরক্ষা দেয়, অস্বস্তি দূর করে, সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
সম্প্রতি যেহেতু এটি দ্রুত শোষণক্ষম, এর অ্যাডভান্সড ওয়েটলক টেকনোলজি রয়েছে, তাই এটি সহজেই ১২ ঘণ্টার প্রোটেকশন নিশ্চিত করতে পারে। ১টি মেয়ের তার মাসের পিরিয়ড সাইকেলে ৮০মিলি পর্যন্ত রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে যা সেনোরা কনফিডেন্সের ১টি ন্যাপকিন শোষণ করার ক্ষমতা রাখে। তাই ১টি সেনোরা কনফিডেন্স স্যানিটারি ন্যাপকিন সহজেই ১২ ঘণ্টার প্রটেকশন দিতে পারে, এতে স্বাস্থ্যের কোনো ঝুঁকিও নেই।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, কত ঘণ্টা পর আপনি ন্যাপকিন বদলাবেন এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে একেকজনের পিরিয়ডের ফ্লো-এর ওপর, কারো প্রথম কয়েকদিন অনেক হেভি ফ্লো থাকে, আবার কারো রেগুলার ফ্লো থাকে। অনেক হেভি ফ্লো-তে ৪-৫টি প্যাডও লাগতে পারে, আবার রেগুলার ফ্লো-তে সাধারণত ২-৩ প্যাডেও চলে যায়। এমনকি এটা ন্যাপকিন অ্যাবজর্পশন টেকনোলজির ওপরও নির্ভর করে। ন্যাপকিনের ভালো অ্যাবজর্পশন পাওয়ার থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে ন্যাপকিন বদলানোর প্রয়োজন নেই। মেয়েদের কোন ধরনের গাইনোকোলজিক্যাল সমস্যার সঙ্গে বেশিক্ষণ ধরে ন্যাপকিন পরে থাকার কোনো সম্পর্ক নেই বা ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন হতে পারে এই কথারও কোনো ভিত্তি নেই।
সাংবাদিক জারিয়া বলেন, আমার দেখা যায় নিজের সুবিধার ওপর চিন্তা করেই ন্যাপকিন বদলাই। যখনই ভেজাভাব চলে আসে ন্যাপকিনে, লিকেজ হলে বা যদি অস্বস্তি লাগে তখনই ন্যাপকিন বদলে ফেলি। আর রিপোর্ট করার জন্য প্রায়ই বাইরে থাকতে হয়, তখন বার বার ন্যাপকিন বদলানো সম্ভব হয় না।
প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত রিয়া জানান, ন্যাপকিন ভালো কোয়ালিটির হলে, অ্যাবজর্পশন পাওয়া ভালো হলে, ড্রাইনেস নিশ্চিত করলে দেখা যায় দিনে ২ বার ন্যাপকিন চেঞ্জ করলেই হয়ে যায়।
আরেকজন হোমমেকার সিনথিয়া জানান, লম্বা জার্নিতে থাকলে, সুযোগ না থাকলে দীর্ঘ সময়ের জন্য ন্যাপকিন পরে থাকতে হয়, যখনই সুযোগ পাই তখনই ন্যাপকিন বদলে নেই। এতে আসলে আমার তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।
পিরিয়ড নিয়ে এখনো অনেক ধারণা করা হয়ে থাকে। পিরিয়ড নিয়ে বিশেষজ্ঞদের নির্ভরযোগ্য মতামত সবসময় সবখানে পাওয়া যায় না। তাই ব্র্যান্ডগুলো পিরিয়ডের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সামনে তুলে ধরতে চায়, যাতে মানুষ সঠিকটাই জানতে পারে।
সব শেষে বিশেষজ্ঞরা বলেন, কিছু স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্র্যান্ড দাবি করে থাকেন ৪-৫ ঘণ্টা পর পর স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করা স্বাস্থ্যসম্মত। অল্প সময়ের মধ্যে পরিবর্তন করা গেলে তো অবশ্যই ভালো। তবে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, মেয়েদের দিনের অর্ধেক সময় ঘরের বাইরে কাটাতে হয়। সেক্ষেত্রে সেনোরা কনফিডেন্স স্যানিটারি ন্যাপকিন সহজেই ১২ ঘণ্টার প্রটেকশন দিতে পারে।
পিএসএন/এমঅাই