
একেকজন একেক পানীয় ভালোবাসেন। কেউ ব্ল্যাক কফির কাপে চুমুক দেন। কেউবা ভালোবাসেন দুধ মেশানো কফি। দুই ধরনের কফির স্বাদ দুইরকম। কোন কফি খাওয়া ভালো এমন প্রশ্ন থাকে অনেকের।
বিশেষজ্ঞদের মতে কফির আসল স্বাদ মেলে কালো বা ব্ল্যাক কফিতেই। এটি যে কেবল খেতেই ভালো তা নয়। ব্ল্যাক কফির রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন দুধ কফির চেয়ে ব্ল্যাক কফি খাওয়া বেশি ভালো-
গ্লুকোজের মাত্রা কমায়
একাধিক গবেষণা অনুযায়ী, ব্ল্যাক কফিতে উপস্থিত ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, দেহের গ্লুকোজ বৃদ্ধির মোকাবিলা করতে পারে। ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখে এটি। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে ব্ল্যাক কফি পান করতে পারেন।
ওজন কমায়
দেহের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে ব্ল্যাক কফি। এতে থাকে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড নামে একটি উপাদান, যা ওজন কমায়। ব্ল্যাক কফিতে সীমিত পরিমাণ ক্যালোরি থাকে। দুধ কফিতে এই ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকায় ওজন বাড়ে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের যোগান দেয়
ব্ল্যাক কফিতে রয়েছে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি ২, বি ৩, এবং বি ৫-র মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। শরীরের জন্য এগুলো বেশ উপকারি।
স্মৃতিশক্তি উন্নত করে
স্মৃতিশক্তি উন্নত করে ব্ল্যাক কফি। নিয়মিত এই কফি পান করলে মস্তিষ্ক সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর থাকে। একইসঙ্গে স্মৃতিজনিত রোগ দূরে থাকে। ব্ল্যাক কফি স্নায়ু সক্রিয় রাখে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়।
ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে
গবেষণা অনুযায়ী, নিয়মিত ব্ল্যাক কফি খেলে লিভার ক্যানসার, স্তন ক্যানসার, কোলন ক্যানসার এবং মলদ্বারের ক্যানসারের মতো নির্দিষ্ট ধরণের কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। শরীরের প্রদাহ কমাতে এই কফি দুর্দান্ত। এটি টিউমারের বিকাশ রোধেও সহায়তা করে।
খালি পেটে কফি পানে শরীরের যে ক্ষতি
তবে খেয়াল রাখা জরুরি যে খালি পেটে কফি খাওয়া একদমই ভালো নয়। রাতে ঘুমানোর আগেও এই পানীয় পান করা উচিত নয়। কফি পানের উপযুক্ত সময় সন্ধ্যাবেলা।