ভারতের জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাকিস্তানের প্রতি সমর্থনমূলক বক্তব্য দেওয়ায় আসাম রাজ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। — খবর: এনডিটিভি।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ দেওয়া এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “পেহেলগাঁওয়ে ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পাকিস্তানপন্থী যেকোনো বক্তব্য বা সমর্থনকে কঠোরভাবে দমন করা হবে। কেউ এমন আচরণ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন— মো. জাবির হোসাইন (হাইলাকান্দি), এম এ কে বাহাউদ্দিন ও মো. জাভেদ মজুমদার (শিলচর), মো. আমিনুল ইসলাম (নগাঁও), মো. সাহিল আলী (শিভাসনগর), মো. জারিফ আলী (বেরপাতা), অনিল বানিয়া (বিশ্বনাথ) এবং পূর্বে গ্রেপ্তার হওয়া আসাম বিধানসভার এআইইউডিএফ দলের বিধায়ক আমিনুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর আমিনুল ইসলাম একটি ভিডিওবার্তায় ওই হামলাকে “বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী মোদির ষড়যন্ত্র” হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। ২২ এপ্রিল পেহেলগাঁও হামলার পর ভিডিওটি পুনরায় ভাইরাল হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগাঁও জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে পর্যটকদের ওপর চালানো হয় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। কাশ্মিরভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই তৈয়বার (LeT) উপশাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF) এই হামলার দায় স্বীকার করে। স্বয়ংক্রিয় রাইফেল হাতে সশস্ত্র জঙ্গিরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অন্তত ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করে, যাদের মধ্যে ছিলেন একজন নেপালি নাগরিকও।