
কে ভেবেছিল বাংলাদেশ জিতবে!
সম্ভবত কেউ না। ২১৫ রান তাড়া করতে নেমে ৭.৪ ওভারের মধ্যে ২৮ রানে ৫ উইকেট নেই। এখান থেকে জয়? অনেকের দূরবর্তী কল্পনায়ও ছিল না। আফিফ হোসেন–মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে সেই সেই দূরবর্তী কল্পনাও বাস্তবায়নের পর অনেকে হয়তো এখনো ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। অনিন্দ্য সুন্দর এক জয়ের রেশ কাটতেও তো সময় লাগে। কাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৪ উইকেটের জয়ে বাংলাদেশ রেকর্ড বইও ওলট–পালট করেছে।
রান তাড়া করতে নেমে সবচেয়ে কম ওভারের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়েও শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নেওয়ার কীর্তি গড়েছে বাংলাদেশ। ৭.৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ২৮। এখান থেকে ২১৫ রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ—দ্রুততম (ওভারের হিসেবে) সময়ের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়েও জয়ের রেকর্ড এটি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ এই কীর্তি গড়ার মধ্য দিয়ে ২০০৯ সালে ঢাকায় শ্রীলঙ্কার সেই পাল্টা লড়াইকে পেছনে ফেলল।
ঠিক ধরেছেন। ২০০৯ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল। আগে ব্যাট করে ৪৯.৪ ওভারে ১৫২ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। তাড়া করতে নামা শ্রীলঙ্কার ইনিংসে শুরুতেই মড়ক লাগান নাজমুল হোসেন ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৮ ওভারের মধ্যে ৬ রান তুলতে ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শেষে মুত্তিয়া মুরালিধরনের ১৬ বলে ৩৩ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংসে জয় হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। এতদিন সবচেয়ে কম ওভারের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়েও রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল এটি। কাল তা পেছনে ফেলল বাংলাদেশ।
তবে এর মাঝে ইংল্যান্ড একটুর জন্য শ্রীলঙ্কার সেই আশ্চর্য পতন টপকে যেতে পারেনি। ২০১৫ সালে চেস্টার–লি–স্ট্রিটে সিরিজের পঞ্চম ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৮৩ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। বৃষ্টির কারণে ডি/এল নিয়মে জয়ের জন্য ২৬ ওভারে ১৯২ রানের লক্ষ্য পায় ইংল্যান্ড। তাড়া করতে নেমে ৮.১ ওভারে ৪৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর শেষ পর্যন্ত ৬ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় পায় এউইন মরগানের দল।
পিএসএন/এমঅাই