পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া — কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইন ও ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনা ভার্জিনিয়া জিওফ্রি আত্মহত্যা করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৪১ বছর।
জিওফ্রির পরিবার জানিয়েছে, তিনি আত্মঘাতী হয়ে মারা গেছেন। কয়েক বছর ধরে তিনি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থ অঞ্চলে বসবাস করছিলেন।
ভার্জিনিয়া জিওফ্রি ছিলেন এপস্টেইন এবং তার সহযোগী ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের অন্যতম সক্রিয় ভিকটিম, যিনি সাহসিকতার সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে অনেক নির্যাতিতের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ১৭ বছর বয়সে তাকে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর কাছে পাচার করা হয়েছিল। যদিও যুবরাজ অ্যান্ড্রু সবসময়ই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানায়, পার্থের এক গ্রামীণ এলাকায় এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এবং ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। জিওফ্রি গত মাসে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার বিষয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন, যদিও পুলিশ তা গুরুতর নয় বলে উল্লেখ করেছে।
২০১৯ সালে প্রকাশিত আদালতের নথি অনুযায়ী, ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টে স্পা অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কাজ করার সময় জিওফ্রির ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং পরে তিনি এপস্টেইনের বিভিন্ন বাড়িতে যেতেন।
এছাড়া, ২০০১ সালে তোলা একটি বিতর্কিত ছবিতে প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে জিওফ্রির কাঁধে হাত রেখে দেখা যায়, যা পরে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
সূত্র: এনবিসি নিউজ, আলজাজিরা