নারদা কেলেঙ্কারি ইস্যুতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের দুই মন্ত্রী এবং তৃণমূল ও বিজেপির দুই নেতাকে তুলে নিয়ে গেছে সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। সোমবার (১৭ মে) সকালে তাদের তুলে নেয়ার পর সিবিআই অফিসে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তাকেও গ্রেফতারের কথা বলেন তিনি।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, সকালে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্রকে তুলে আনা হয় সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে। এ ছাড়াও তুলে আনা হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। কোনো নোটিশ ছাড়া মাত্র দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে চার জনকে তুলে আনা হয়। পরে গ্রেফতার করা হয় তাদের।
সোমবার সকালে ফিরহাদ হাকিমকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়ার পর মমতা ব্যানার্জী তার বাড়িতে যান। এরপর সেখান থেকে তিনি চলে যান সিবিআই অফিস নিজাম প্যালেসে। আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।’
সূত্র জানিয়েছে, তাদের গ্রেফতারকে বেআইনি বলে মমতা বলেছেন, যতক্ষণ না তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি নিজাম প্যালেস ছাড়বেন না।
সোমবার সকালে কলকাতার সাবেক মেয়র, তৃণমূলের বিধায়ক এবং মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সকাল ৯টার দিকে তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় সিবিআই। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ফিরহাদ বলেন, ‘নারদ মামলায় আমাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বিনা নোটিসে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্পিকারের অনুমতি ছাড়াই আমাকে গ্রেফতার করা হলো। আদালতে দেখে নেব।’
এদিকে সকালেই মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। নিজাম প্যালেসে আনা হয় রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সিবিআই জানিয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজাম প্যালেসে অ্যারেস্ট মেমোয় সই করানো হয় এই চারজনকে। এরপরই নিজাম প্যালেসে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা।